বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) নিয়ে বাঙালি দর্শকদের মাতামাতির শেষ নেই। আসলে সারাদিনের কাজের ফাঁকে একটু বিনোদনের আশায় টিভির সামনে হাজির হন সকলে। তবে সিরিয়ালের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই একটা অভিযোগ রয়েছে। সেটা হল গল্পে এমন কিছু জিনিসে দেখানো হয় যেটা বাস্তবে একেবারেই বেমানান! সেই কারণে বহুবার গাঁজাখুরি কাহিনী বলে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে একাধিক সিরিয়ালকে। আর এবার ষ্টার জলসার (Star Jalsha) মাধবীলতা (Madhobilota) সিরিয়ালকে ধুয়ে দিল দর্শকেরা।
সিরিয়ালের কাহিনী অনুযায়ী মাধবীলতা আদিবাসী পরিবারেই মেয়ে। বন জঙ্গলের মধ্যেই বড় হয়ে উঠেছে সে, আর গাছই তাঁর প্রাণ। গাছেদের মা মনে করে সে, তাই জঙ্গলের গাছ কাটা চোরা কারবারিদের চরম শত্রু মাধবীলতা। তবে জঙ্গল ছেড়ে বর্তমানে পুষ্পরঞ্জন চৌধুরীর বাড়ির বউ হয়ে গিয়েছে মাধবী। লক্ষ্য একটাই শ্বশুরমশাইকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা।
শ্বশুরমশাইকে টাইট দিয়ে সঠিক পথে ফেরাতে অকালে স্বরস্বতী পুজো করে হাতে ধরে ‘অ-আ-ক-খ’ও শেখাচ্ছে সে। শুধু তাই নয় শিক্ষিত হওয়ায় শ্বশুরকে গাছের উপকারিতাও বোঝানোর চেষ্টা করেছে সে। জানিয়েছে গাছ কাটলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীটা আগুনের গোলা হয়ে যাবে। গ্রামের মানুষে এই কথা জানে, আর শরীরের লোক হয়ে গাছের উপকারিতা জানেন না?
বৌ মাধবীর এমন জ্ঞান দেখে ভ্যাবাচ্যাকা সবুজ। অবাক হয়ে শেষে বলেই ফেলে, ‘তুমি এত কিছু জানো?’ উত্তরে মাধবী জানিয়ে দেয়, ‘কেন গ্রামে থাকি বলে কি আমি অশিক্ষিত? আমি পদার্থবিদ্যায় ১০০ এর মধ্যে ৯৮ পেয়েছিলাম। ২ নম্বর কেন পাইনি জানেন? কারণ আমি যে কলমটাই লিখছিলাম সেই কলমের কালি ফুরিয়ে গিয়েছিল। আর একটা কলম কেনার পয়সা আমার ছিল না’।
তাঁর মতে, সেদিন পরীক্ষার হলে কেউ একটা কলম দিয়েও সাহায্য করেনি। সবার কাছেই লেখার জন্য কলম চেয়েছিল কিন্তু কেউ না দেওয়ায় উত্তর লেখা হয়নি। সেই কারণেই পদার্থবিদ্যায় ২ নম্বর কম হয়েছিল। একটা বলতে গিয়ে মনের কষ্টে চোখ দিয়ে জল চলে এসেছিল মাধবীর।
কিন্তু নায়িকার এমন ডায়লগ শুনে রীতিমত হেসে গরগর খাওয়ার মত অবস্থা দর্শকদের। এমনিতেই সিরিয়ালের বেফাঁস মন্তব্য থেকে গাঁজাখুরি কাহিনী নিয়ে ট্রোলিংয়ের অন্ত নেই। তারপর এমন একটা মন্তব্য কি আর ছাড়া পায়! নিমেষের মধ্যেই এই ডায়লগ ভাইরাল হয়ে পড়েছে, মিম ভিডিও হিসাবে।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এক নেটিজেন কমেন্ট করেছেন, ‘আমার একটা পেনের রিফিলে ইতিহাসের অনার্সের চারটে পেপার কমপ্লিট হল। এবার বুঝতে পারছি পেনের কালি ফুরোইনি বলেই ১০০ই ১০০ পাইনি’। তো আরেকজন বলেছেন, ‘অবাক হয়ে যাই, এসব আজগুবি গল্প এই শিক্ষিত সচেতন সমাজে কোটি কোটি টাকার এপিসোড হিসেবে বিক্রি হচ্ছে!’