তারপর তো কত অভিনেতা জন্ম নিলেন, কিন্তু ‘মহানায়ক’ উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) জায়গা নেওয়ার সাধ, সাধ্য বা সাহস এখনও পর্যন্ত কারোরই হয়নি। একুশ শতকের বুকে দাঁড়িয়েও আট থেকে আশির হার্টথ্রব তিনি। তিনি যা দিয়ে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে তার গর্বেই আজও বিশ্বের দরবারে কলার তুলছে বাঙালি জাতি।
আপামর বাঙালির কাছে আজও আবেগের নাম মহানায়ক উত্তমকুমার । ওমন দাপট, ওমন ব্যক্তিত্ব আর দ্বিতীয় বার তৈরি হয়নি। আজও তার নাম শুনলেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন বাঙালি। তার জীবনচর্চা, স্টাইল, পোশাক, ব্যক্তিত্ব সবই আজও আগ্রহের কারণ। তাকে যদি আর একবার ফিরে পাওয়া যেত, তবে যেন বর্তে যেত এপ্রজন্ম। কিন্তু তা কি করে সম্ভব? সেই ১৯৮০ সালেই ইতি পড়েছিল মহানায়কের জীবন অধ্যায়ে।
আজ ৩রা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ উত্তম কুমারের জন্মদিন, এই বিশেষ দিনেই অসাধ্য সাধন করলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। জন্মবার্ষিকীতেই কিংবদন্তীকে ফিরিয়ে আনলেন পরিচালক। ৪ বছর গবেষণার পর সৃজিতের ছবিতে অভিনয় করছেন স্বয়ং উত্তম কুমার। এদিন অসংখ্য অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পরিচালক প্রকাশ্যে আনলেন ‘অতি উত্তম’ ছবির পোস্টার।
পরিচালকের ক্যাপশনেই পরিস্কার এর পিছনে রয়েছে সৃজিতের দীর্ঘ ৪ বছরের গবেষণা। পাশাপাশি রয়েছে মহানায়কের ৬২টি ছবি ফ্রেম বাই ফ্রেম খুঁটিয়ে দেখা, পর্যবেক্ষণ করা। এমনকি বারেবারে বদলাতে হয়েছে চিত্রনাট্যও।
এই ছবিতে দাদু উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় কবেন নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কথায় ভিএফএক্সের (VFX) মাধ্যমেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে চলেছেন তিনি। প্রেম সফল না হওয়ায় হতাশ হয়ে যান এক অনুরাগী, আর সেখানেই এন্ট্রি ‘লাভগুরু’ উত্তম কুমারের। মহানায়কের সাহায্যে চেয়ে প্ল্যানচেটের মাধ্যমে উত্তম কুমারকে নিয়ে আসেন তাঁরা। মহানায়কও আসতে রাজি। তবে একটা শর্তে। রঙিন না, তিনি সাদা-কালো দুনিয়ার মানুষ হিসাবেই ফিরতে চান এবং ফিরবেনও। আর এভাবেই এগোবে ‘অতি উত্তম’-এর গল্প।