সম্প্রতি জানা গিয়েছে শেষ হয়েছে ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ (Khukumoni Home Delivery) সিরিয়াল। মাত্র ছয় মাস আগেই শুরু হয়েছিল সিরিয়ালটি। কিন্তু হটাৎই সেটা শেষ হওয়ায় মন খারাপ দর্শক থেকে শুরু করে সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রীদেরও। সিরিয়ালে বিহানের সৎ বোন শ্রী এর চরিত্রে অভিনয় করছিলেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattaraj)। সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ অভিনেত্রীর।
এর আগে ‘কৃষ্ণকলি’ (Krishnakoli) সিরিয়ালে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘রাধারানী’র ভূমিকায় দেখা বিয়েছিল অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রী নিজেও একথা স্বীকার করেন যে, কৃষ্ণকলি সিরিয়ালের চরিত্রটাই তাকে বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল। এরপর ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ সিরিয়াল। কিন্তু দুই সিরিয়ালে নিজের চরিত্রের মধ্যে একটা অসাধারণ পার্থক্য রয়েছেন। তাঁর মতে কৃষ্ণকলি সিরিয়ালে এক মেয়ের মা ছিলাম আর অন্য দিকে এই সিরিয়ালে ছোট্ট মেয়ে। দুটো চরিত্রে আলাদা হওয়ার পাশাপাশি বেশ ভালো লেগেছিল কাজ করার সময়েও।
তবে দুঃখের বিষয় এই যে মাত্র ৬ মাসের মাথাতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিরিয়ালটি। অভিনেত্রীর মতে, অভিনয়ের পেশা এমনই নিরাপত্তাহীন একটা পেশা। এই মুহূর্তে তিনি আবার কর্মহীন, নতুন কাজের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে সাথে এও জানান যে কৃষ্ণকলির জেরে পাওয় জনপ্রিয়তা বেশ কিছু স্টেজ শো পাইয়ে দিয়েছে তাকে। যার জেরে বেশ কিছু এলাকায় গিয়ে মঞ্চে শো করে এসেছেন তিনি।
এরপর কাঞ্চন মল্লিকের সাথে তাঁর প্রেম নিয়ে সৃষ্টি হওয়া গুঞ্জন বা বিতর্ক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। যার উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ত্রিকোণ প্রেম নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কের জেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাছাড়া বিতর্কে নাম জড়ানোয় অনেকেই তাকে কাজ দিতে চাইনি। তবে স্নেহাশীষ দা বা প্রযোজনা সংস্থাকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অভিনেত্রী তাকে কাজ দেওয়ার জন্য।
ত্রিকোণ প্রেম প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, এর আগে কোনোদিনও পিঙ্কিদিকে অভাবে দেখিনি। বরাবরই শান্ত মানুষ পিঙ্কি দি, সবাইকে হেল্প করেন। কাঞ্চনদার সূত্রেই আলাপ হয়েছিল, কাঞ্চনদা সর্বদাই প্রশংসা করতেন পিঙ্কি দির। তবে হটাৎ করে কেমন যেন সবটা ঘেঁটে গেল। অভিনেত্রী নিজেই জিজ্ঞাসা করে বসেন কারোর উস্কানিতে পিঙ্কিদি এমন পুলিশি পদক্ষেপ করল? বা হয়গত মানসিক ভাবে টানাপোড়েনের মধ্যেছিলেন তাই জিনিসটা খুব বাজে লেগেছিল তাঁর।
যদিও পিঙ্কির ওপর কোনো ক্ষোভ নেই বলেই জানান শ্রীময়ী। তবে তাঁর মতে, এসবের মাঝে তিনটে পরিবার নাজেহাল হল। একটা কাঞ্চন-পিঙ্কির পরিবার তো ভুগলোই সাথে আমার অভিনেত্রীর পরিবারের লোকেও মানসিকভাবে আঘাত পেলেন। কারণ মা-বাবারা পুরোনো যুগের মানুষ, কেন হটাৎ মেয়েকে প্রকাশ্যে অপমানিত হতে হল সেটা বুঝতে পারেননি কেউই।