চলে এসেছে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গোৎসব। আর তাই পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা আপামর বাঙালি। পুজো মানেই নিয়ে আসে একরাশ আনন্দ। সারা বছরের জমানো কষ্ট ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায় মা দুর্গার আগমনে। কিন্তু উৎসবের মরশুমে অনান্য বারের তুলনায় এবারের পুজোটা একেবারে ফিকে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের কাছে। সদ্য বাবা সন্তোষ মিত্র কে হারিয়েছেন অভিনেত্রী।
গত মাসেই অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর আচমকাই প্রয়াত হয়েছেন শ্রীলেখার বাবা। তারপর থেকেই সর্বক্ষণ বাবার পুরনো স্মৃতি কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে অভিনেত্রীকে। বাবার মৃত্যু শোকে মুহ্যমান অভিনেত্রী। সেই কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন অভিনেত্রী।সোশ্যাল মিডিঢয়ায় ক্ষণে ক্ষণেই বাবার সেই স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসছেন। কখনো ডিপি বদলে রাখছেন বাবার ছবি, আবার কখনও বাবার সাথে শেয়ার করছেন পুরনো ছবি।
সদ্য এমনই একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে শ্রীলেখা লিখেছিলেন, ‘দুজনে দুজনের ইমোশনাল সাপোর্ট সিস্টেম ছিলাম।’ আবার বাবার অনুপস্থিতিতে মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পিরিচুয়াল গাইডেন্সের খোঁজ করছেন অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে তাঁর মনের অবস্থা এতটাই দুর্বল যে পুজোর আনন্দও এক ফোঁটা ছুঁতে পারছে না তাঁকে।
View this post on Instagram
কিছুদিন আগে যদিও মেয়ে শুক্লার আবদার মেটাতে পুজোর কেনাকাটা করতে তাঁকে নিয়ে শপিংয়ে বেরিয়েছিলেন অভিনেত্রী। পুজোর সাজে আলোয় ঝলমল করছে গোটা শহর। কিন্তু শ্রীলেখার চোখে মুখে বিষাদের ছাপ। তাই ঘরোয়া পোশাকেই শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে নিজের সেল্ফি দিয়ে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘পুজোর সাজে ছবি দিতে না পারার জন্য দঃখিত। হয়তো পারব পরে, নাও পারতে পারি। তবুও সবাইকে জানাই শুভ শারদীয়া।’
একই ছবি ফেসবুকে দিয়ে তিনি লিখেছেন ‘পুজোয় নতুন শাড়ি হয়নি। তাই হয়তো এভাবেই দেখবো বা, দেখবে, অবশ্য হলেও বা কি, যাবই বা কোথায়।’ কাজেই বাবার অনুপস্থিতিতে সারাক্ষণ একটা মন খারাপ কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে অভিনেত্রীকে। তাই আনন্দের দুর্গা পুজোয় অভিনেত্রীর মনজুড়ে শুধুই মন খারাপ।