বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম স্পষ্টবাদী নায়িকা হলেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। তাই তার মনে যা, মুখেও সেই একই কথা থাকে যার জন্য মাঝে মধ্যেই বিতর্কে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম ট্রোলের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। তবে লোকে কি বলল তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই শ্রীলেখার। তাই বরাবরই নিজের শর্তে জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত চুটিয়ে উপভোগ করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে।
ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যেও বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুন অ্যাক্টিভ থাকেন অভিনেত্র। সেখানেই অনুরাগীদের সাথে প্রতিনিয়ত জীবনের ছোটো থেকে বড়ো নানা ঘটনার আপডেট দিয়ে থাকেন অভিনেত্রী। তুলে ধরেন জীবনের নানান সমস্যার কথাও। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সুদূর দুবাইয়ে আয়োজিত হচ্ছে অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেই এপার বাংলার অভিনেত্রীদের মধ্যে ডাক পেয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র।
সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই দুবাই সম্প্রতি দুবাই গিয়েছেন শ্রীলেখা। এদিন দুবাই যাওয়ার পথেই ফেসবুক পোস্টে মজা করে শ্রীলেখা লিখেছিলেন, ‘ধুস একটা বয়ফ্রেন্ড নেই যাকে বলব যাচ্ছি বাবু, ভীষণ মিস করব তোমায় বেবি… এখন মেয়ে ছাড়া কাউকে টাটা করার নেই।’
ব্যস শ্রীলেখার এই পোস্ট ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যায় একের পর এক ট্রোলিংয়ের বন্যা। কেউ লিখেছেন ‘আমি আছি তো,সাবধানে থেকো বাবু।’ আবার কেউ লিখেছেন ‘কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে।’ কেউ আবার বয়ফ্রেন্ড হওয়ার শর্ত জানতে চান। এসবের বিরুদ্ধে শেষ মেশ বাধ্য হয়ে মুখ খুলেছেন শ্রীলেখা। দুবাই চুটিয়ে ছুটি উপভোগ করার পাশাপাশি একটি দীর্ঘ পোস্টে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
সমালোচকদের কূপমণ্ডূক বলে সম্বোধন করে অভিনেত্রী লিখেছেন ‘শ্রীলেখা মিত্র এটা লেখার সঙ্গে সঙ্গেই বুঝেছেন কেলো করেছেন। না উনি কোনও দুঃখ-হতাশা থেকে, মানে বয়ফ্রেন্ড না থাকার দুঃখ-হতাশা থেকে এই পোস্ট করেননি। ফ্লাইটে উঠেই আগে মা-বাবাকে ফোন করতাম, মেয়ে নেহাত ছোট সে তার পড়াশোনার জগৎ নিয়ে আছে, ICSE দিচ্ছে। তাই ওকে বিরক্ত করি না। বাবা চলে যাওয়ার পর অনুভব করলাম… সত্যিই তো আমার কেউ নেই যাকে ঠিকঠাক পৌঁছানোর খবর দেব। তাই হালকা চালে বয়ফ্রেন্ডের বিষয় বলি। প্রচুর ফ্যান-ফলোয়ারদের ভিড়ে হ্যাঁ বিশেষ কেউ এখন আর নেই, কখনও হয়তো মিস করি, অধিকাংশ সময় করি না। প্রেমটা এখন আর ঠিক আসে না, তাই আমার রোমান্টিসিজম প্রকৃতি নিয়ে, নিজেকে নিয়ে, নিজের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে।”