বাঙালি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বহু পুরোনো এই অভিনেত্রীর গ্ল্যামার জগতে বেশ নাম রয়েছে। বর্তমানে ৪৬ বছরে পা দিয়েছেন অভিনেত্রী। এই বয়সেও শ্রীলেখার গ্ল্যামার আর অভিনয়ের দক্ষতায় ঘায়েল বহু পুরুষ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেও নয়া নয়া অবতারে হাজির হন এই অভিনেত্রী। শাড়ি অথবা ওয়েস্টার্ন আজও সব পোশাকে মোহময়ী তিনি, তাই তাকে নিয়ে দর্শকদের কৌতুহলের শেষ নেই।
গত বছরেই বাবাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী। বাবাকে হারানোর পর এখন তার সম্বল একমাত্র ছোট মেয়ে। স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর মেয়েকে একাই কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন শ্রীলেখা। সেই ছোট্ট মেয়ে এবার দেখতে দেখতে ১৬ বছরে পা দিল। অন্যান্য স্টারকিডদের মতো লাইমলাইটে থাকতে পছন্দ করেন না শ্রীলেখা কন্যা ঐশী।
আজ দীর্ঘ বছর পর মেয়ের জন্য কলম ধরলেন শ্রীলেখা, শুধু তাই নয় চেয়ে নিলেন ক্ষমাও। মায়ের তারকা সত্তা গায়ে মাখতে পছন্দ করেন না শ্রীলেখা কন্যা। কখনই একসাথে মা বাবাকে পায়নি সে, হয়ত সেই অভিমান থেকেই। যখন শ্রীলেখা শিলাদিত্যের বিচ্ছেদ হয় তখন মাইয়্যার বয়স মাত্র ৮। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মা-বাবাকে আলাদা বাড়িতে দেখতে শুরু করেছে সে৷
তাই অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ক্ষমা করে দিস মা! তোকে আমি আদর্শ ছেলেবেলা দিতে পারিনি।’’ এতদিন পর তার এই উপলব্ধি মেয়েকে নিজের পোশাক গয়নায় সাজতে দেখে। অভিনেত্রীর চোখ জুড়িয়ে গিয়েছে মেয়েকে দেখে৷
ঐশী ওরফে মাইয়্যাকে এসব টানাপোড়েনে কোনোওদিনই রাখতে চাননি শ্রীলেখা, তাই দরজা বন্ধ করেই তিনি প্রাক্তন স্বামীর সাথে ঝগড়া করতেন তিনি৷ তবে আলাদা হওয়ার আগে মেয়েকে তিনি পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে বলেছিলেন, মা, তোমার যখন যার কাছে থাকতে ইচ্ছে করবে, থেকো। মা-বাবার দরজা তোমার জন্য সব সময় খোলা।’’
কপাল ও এমন বাবার কাছে থাকতে ইচ্ছে হলে তাই নিজেই ব্যাগ গুছিয়ে পাড়ি দিত সে বাবার কাছে। মেয়েকে নিয়ে এদিন গর্বে বুক ফুলিয়ে শ্রীলেখা জানান, ‘ সব সময়েই যে মেয়ের সব কিছু পূরণ করে উঠতে পেরেছি, এমনও নয়। মাইয়্যা কিন্তু তাই নিয়েও নালিশ করেনি। আমার ট্যাব চাই, নোট প্যাড চাই, অমুক তমুক…. বলতেই শুনলাম না! ক্রিম মাখো রে, চুল বাঁধো রে বললে তবে সে সব হয়। বদলে ভাল ছবি দেখার পিছনে সময় খরচ করতে রাজি। বা পড়াশোনা কিংবা আরও অন্য কিছু। ‘ একা মা হওয়া মুখের কথা নয়, তা ঠেকে শিখেছেন অভিনেত্রী৷