রাজনীতিতে আগে ছিল সৌজন্যবোধ, বিরোধিতা থাকলেও ছিল সমীহ করার চল। কিন্তু এই মিম, ট্রোল সর্বস্ব যুগে সেসব কবেই হয়েছে অতীত। এবার সেই সৌজন্যের বাঁধ ভাঙলো, রাজনৈতিক তরজায় সোশ্যাল মিডিয়াতেই মেজাজ হারালেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। প্রসঙ্গ, নারদা কান্ডে সিবিআই-য়ের গ্রেফতার।
মূলত, দিন দুয়েক আগেই নারদা কান্ডের জেরে তৃণমূলের ৪ তাবড় নেতা তথা মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। স্বভাবতই এর রেশ এসে পড়েছে টলিউডেও। চলছে ঠান্ডা লড়াই। এই ঘটনার পর থেকেই বিরোধীদের প্রশ্নবানে কার্যত নাজেহাল শাসকদল। রাজনীতির কারণে নির্বাচনের আগেই প্রায় আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছিল টলিউড, এবার সেই ফাটল এক্কেবারে প্রকাশ্যে।
সম্প্রতি নারদা কান্ড নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারকে। তৃণমূল ঘেঁষা এই অভিনেত্রী জানান, ‘পাঁচ লাখ টাকার জন্য কেন ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করবেন নেতা-মন্ত্রীরা।’ আর দেবলীনার এই বক্তব্যেই মেজাজ হারান বাম সমর্থক শ্রীলেখা মিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরিই দেবলীনার এই মন্তব্যকে তুলে ধরে শ্রীলেখা লেখেন, ‘মানে কি আর বলব এই আবালদের সম্পর্কে’।
যদিও দেবলীনা, শ্রীলেখার এই রাজনৈতিক জটিলতা নতুন নয়, এর আগেও তাদের কথা-কাটাকাটির নজির মিলেছে। তবে সেবার দেবলীনা জানিয়েছিলেন, সিনিয়র অভিনেত্রীর সম্পর্কে তিনি কোনো খারাপ মন্তব্যই করতে চাননা। শ্রীলেখার এই পোস্টেও কোনোও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি, তৃণমূলের বিধায়ক দেবাশীষ কুমারের কন্যা অভিনেত্রী দেবলীনাকে। তবে এহেন পরিস্থিতিতে, অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে ক্রমেই যেভাবে দূরত্ব বাড়ছে, তাতে আগামীতে বিনোদন জগতের ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে তা নিয়ে বেজায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ্।