আজকালকার দিনে বেঁচে থাকতে কেউ খোঁজ নেয় না। অথচ মারা যাওয়ার পর কত হইচই, সন্মান প্রদর্শন থেকে স্মৃতিচারণ। ঠিক যেমনটা সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাওয়ার পর হয়েছিল। খানিক তেমনটাই দৃশ্য আবারও দেখা গেল টলিউডের অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chattopadhyay) প্রয়াত হওয়ার পর। আর সেই দেখেই এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন টলিউডের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)।
বৃহস্পতিবার অভিষেকের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে টলিপাড়া। ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখাও। কিছুতেই মন মানছে না মন বসছে না কোনো কাজেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের মনের অবস্থাও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইন্ডাস্ট্রির লোক থেকে মিডিয়ার ক্যামেরার ভিড় দেখে বিরক্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।
এসব দেখার পর আর চুপ থাকতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি মরলে আমাকে নিয়ে যেন কোনো ইন্ডাস্ট্রির আর মিডিয়ার সার্কাস না হয়’। অর্থাৎ অভিনেত্রীর মতে, শান্তিতে মরতে চান তিনি। এই সমস্ত সার্কাস বড় বিরক্তিকর লাগে তার কাছে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী জানান, বেঁচে থাকতে কেউ খোঁজ নেন না। এখন যেমন তাঁর নিজের বাড়ির সামনে লোক জনদের ভিড় নেই তেমনটাই জেনথাকে মারা যাওয়ার পরেও। এটাই চান অভিনেত্রী। এর সাথে আরপও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষটা বেঁচে আছে ততক্ষন তিনি খারাপ, আর মারা গিয়ে চোখ বুজলেই তিনি ভালো হয়ে যান। এই ধরণের মানুষের প্রবণতা বড়োই বিরক্তিকর।
সেই কারণেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইচ্ছাপত্র লিখে যাওয়ার। যেটা সম্পর্কে তাঁর মেয়ে ও ঘনিষ্ঠ জনেরাই জানবেন। এমনকি অভিনেত্রীর শেষ যাত্রাতেও তাঁর ঘনিষ্ঠরাই থাকুক এমনটাই চান অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
প্রসঙ্গত, বুধবার শুটিংয়ের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ডাক্তার দেখিয়ে হাসপাতালে পাঠাতে চাইলেও বাড়িতেই চিকিৎসা করতে চান। কিন্তু ঐদিন রাট ১.৩০ নাগাদই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিজের বাড়িতে। অভিনেতার মৃত্যুতে টলিউডের আকাশের এক নক্ষত্র পতন হল। তবে নিজের অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে তিনি সর্বদাই অমর থাকবেন দর্শকদের হৃদয়ে।