মহালয়া (Mahalaya) মানেই এখন সব চ্যানেলগুলিতে শুরু হয়ে যায় মহিষাসুরমর্দিনীর সম্প্রচার। মা দুর্গার বেশে হাজির হয়ে যান টলিউড, টেলিভিশনের দুনিয়ার সকল নামী নায়িকারা। বছরের পর বছর ধরে এখন এই পরম্পরাই চলে আসছে। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অতিনাটকীয়তা। আর সেই সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সমালোচনা।
সম্প্রতি মহালয়ার এই অতিনাটকীয়তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দর্শকদের একাংশ। এবার নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন টলিউডের নামী অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। টলি সুন্দরীর বক্তব্য শোনার পর ফের একবার পুরনো মহালয়া বনাম নতুন মহালয়া বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।
টলি অভিনেত্রীর মতে, এখনকার মহালয়ায় সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার অভাব রয়েছে তা হল সাধারণত্ব। এখন তো মহালয়া মানেই চড়া মেক আপ, লম্ফঝম্প, আর ভিএফএক্সের বাড়াবাড়ি। এখনকার মহালয়ায় সব কিছুই রয়েছে, নেই শুধু সেই সাধারণত্বটাই ।
দূরদর্শনের মহালয়ার একটি ভিডিও শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘মা দুর্গা সাজতে গেলে ডিজাইনার শাড়ি, গয়না লাগে না। আর বিশেষ এফেক্টস দিয়ে ‘খামতি’গুলোও ঢাকতে হয় না। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং বাকিরা এই কথা কবে বুঝবেন? আমাদের সময় সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায় দূরদর্শনে মা দুর্গা সাজতেন। তাঁকে মানাত। তাঁর মুখের শ্রীটাই ছিল একেবারে মায়ের মতো। আপনাদের কারোর সেটা নেই’।
এখানেই থামেননি টলি সুন্দরী। শ্রীলেখার সংযোজন, ‘দোষটা আসলে আপনাআদের নয়, দোষটা হল সিস্টেমের। রাজনীতির এবং ক্ষমতার। আবার দয়া করে কিন্তু এটা ভাববেন না যে আমায় কোনোদিন মা দুর্গা হতে দেখেননি বলে আমি এগুলো হিংসে থেকে বলছি। আর ভাবলেও বা আমার কী যায় আসে? সব সময় সাধারণত্বের জয়জয়কার হয়, এই কথাটি বুঝলেই আমার চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য’।
শ্রীলেখার মতে, আগে সব কিছুই সাধারণ ছিল। মহালয়াতেও সেটাই ফুটে উঠত। আর এখন তো সব কিছুতেই জাঁকজমক থাকে। কিন্তু অন্তরের সৌন্দর্য সেটাই তো নেই। সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেন, এখনকার অভিনেত্রীদের মুখ দেখলে ভেতর থেকেই ভক্তিভাব আসে না।