জ্ঞানত বা অচেতনে আমরা প্রতিনিয়তই কোনও না কোনও মানুষকে তাদের শরীর নিয়ে বাঁকা মন্তব্য করে থাকি। আমরা বুঝতেই পারিনা এভাবেই একজন অচেনা মানুষকে আমরা বডি সিমিং করে বসলাম। আর অভিনেতা অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে তো এই ঘটনা আখচার হচ্ছে। প্ৰচলিত ধারণা অনুযায়ী ,নায়িকাকে হতে হবে সুন্দরী ,ফর্সা ,রোগ ,ছিপছিপে। এর বাইরে কিছু হলেই সেই নায়িকাকে তুলোধোনা করতে ছাড়েন না দর্শকেরা ।
যেন প্রতি মুহূর্তেই দর্শকদের আতসকাঁচের তলায় রয়েছেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা ,আজকালকার দিনে প্রতিটা মানুষই প্রায় বডিশেমিং -এর শিকার ,বিশেষ করে নারীরা। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে টলিউডের অন্দরে চলা এই নোংরা প্রবণতা সম্পর্কেই মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
কম দিন তো হল না, প্রায় কয়েক দশক ধরে টলিউডে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী। একসময় টলিউডে একগুচ্ছ হিট ছবি উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু এত ভালো অভিনয়টা জানলেও মোটা এবং ভারী চেহারার জন্য তাকেও বহুবার হতে হয়েছে অপমানিত। কিছুদিন আগেই শ্রীলেখার মহিলা এক সহকর্মী তাকে ‘থলথলে বৌদি ‘ বলে ডেকে নোংরা মন্তব্য করেছিল। এই ঘটনা নিয়েও সেই সময় ফুঁসে উঠেছিলেন শ্রীলেখা।
এই ব্যাপারে অভিনেত্রী জানান, ‘আমাকে এখনও শুনতে হয়, ‘তুমি এত মোটা হয়ে গিয়েছ কেন?’, ‘কীভাবে এত ওজন বাড়ল তোমার’, ‘মোটা হওয়ার পরেও ছোট পোশাকে ছবি তুলতে লজ্জা করে না?’-র মতো প্রশ্ন। অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে চোখ রাখলেই বোঝা যায় ,তার যেকোনও রইল ভিডিওর নীচেই তার চেহারা নিয়ে মন্তব্য করা হয়।
কিন্তু বর্তমানে এই প্রবণতা নিয়ে বেজায় বিরক্ত শ্রীলেখা। তার একটাই বক্তব্য ,’কীভাবে কেউ কোনও মানুষকে তাঁর চেহারা, তাঁর গায়ের রং বা তাঁর উচ্চতা দিয়ে বিচার করতে পারে? আমার মেয়ের জন্মের পর আমার ওজন বেড়েছে। আর এটা যে কোনও মায়ের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু বলুন তো, কেন মানুষ ইচ্ছে হলেই এই নিয়ে মন্তব্য করবে?’
টলিউডের এই প্রবণতা নিয়ে এবার শ্রীলেখা জানান , ‘এরকম অনেকবার হয়েছে পরিচালক আমাকে ফোন করে বলেছে তিনি আমাকে কাজ দিতে পারবেন না কারণ আমার ওজন বেশি। ভাবুন তো? তারপর আমি এটা বুঝতে পারি আমাকে ওজন কমাতে হবে কি হবে না, সেটা আমি ঠিক করব।’