টলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের তালিকায় অন্যতম অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra)। বয়সের কোনোদিনই ধারধারেন না শ্রীলেখা। বয়স ৪৫ পেরোলেও তার ব্যক্তিত্ব, অভিনয় থেকে ঠোঁটকাটা স্বভাব সবই চর্চার বিষয়। স্পষ্ট কথা স্পষ্ট ভাবে মুখের উপর বলার জন্য সমালোচিত হওয়া থেকে নিজের বোল্ডনেসে ঘুম ওড়ানো সবই অভিনেত্রীর আয়ত্তে। তবে তার এই সাহসিকতাকেই অনেকে যেন ভালো চোখে নিতে পারেননা।
তার যেকোনো পোস্ট যেমন এক শ্রেণীর মানুষের কাছে বিপুল পছন্দের, তেমনই তার ছবিতে কটুক্তিও যেন মাস্ট। জনপ্রিয়তা এবং সমালোচনা যেন হাত ধরাধরি করে চলে অভিনেত্রীদের জীবনে, আর এই তালিকায় একদম উপরের নাম শ্রীলেখা মিত্র। তবে এসবে কোনোকালেই বিশেষ কান দেন না শ্রীলেখা। বরং হেটার্সদের কাঁচকলা দেখিয়ে নিজের কাজ আরও পারদর্শীতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত করে চলেছেন অভিনেত্রী।
দিন দুয়েক আগেই একগাদা শপিং করে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন বিদেশ সফরে যাচ্ছেন তিনি। সাহসী অভিনেত্রী শ্রীলেখা বেশ কয়েকটি ব্রা কিনেও তা হাতে ঝুলিয়ে ছবি দিয়েছিলেন। এছাড়াও পোশাক, খুটিনাটি অসংখ্য শপিং করেছিলেন দেশ ছাড়ার আগে।
গতকাল মঙ্গলবার এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে ছবি শেয়ার করেন শ্রীলেখা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীর পরনে রয়েছে সাদা রংয়ের একটি জামা, গায়ে রয়েছে ডেনিম জ্যাকেট , এবং হাতে রয়েছে ঘড়ি এবং মাক্স। এই ছবি শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখেছিলেন, সুইত্জারল্যান্ড চললাম, হ্যাঁ, সুইস অ্যাকাউন্ট খুলতেই খাচ্ছি।’
তার এই ছবির নীচেই ধেয়ে এসেছে একের পর এক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। যেখানে তাকে বলা হয়েছে, এখন আফগানিস্তান যান। খেলা হবে গান চলছে ওইখানে।’,‘অবাক হবার কিছুই নেই এখন তো সিপিএম আর তৃণমূল এক হয়ে গেছে। সুইস অ্যাকাউন্ট কেনো অনেক কিছুই আর বললাম না’।
প্রসঙ্গত, দুর্ধর্ষ গোষ্ঠী তালিবানদের অত্যাচারে ভীত গোটা আফগানিস্তান। ভীত, সন্ত্রস্থ হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া আফগানবাসী। তালিবান নামেই ভয়ে হাড় হিম হয়ে যায় গোটা বিশ্বের। তালিবানিরাই যখন দেশের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তখন নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে আফগানিস্তান ছেড়ে দূরে পালানোর চেষ্টা করে চলেছে হাজারো দেশবাসী , উড়ন্ত উড়ান থেকে হাজার মানুষের ঝুলন্ত ছবি গতকাল আমরা সকলেই দেখেছি।
উড়ন্ত বিমান থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর পরও দেখা যাচ্ছে মর্মান্তিক ছবি। কাবুল বিমানবন্দরের দিকে দৌড়াতে দেখা গেছে মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের। এমনকী আমেরিকার বায়ুসেনার বিমানে ঝুলে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টাও করেন কেউ কেউ। তাতেই বিমান থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। তালিবানি শাসন কায়েম হতেই উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে মহিলাদের পরিস্থিতি। আফগানিস্তানের এই ভয়াবহ অবস্থায় আতঙ্কিত গোটা বিশ্বই। এই পরিস্থিতিতে এহেন মন্তব্য কতটা আপত্তিকর তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।