সম্প্রতি ফের একবার বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে স্বজনপোষণ বিতর্ক। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই মন কষাকষি শুরু হয়েছে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির দুই অভিনেত্রীর মধ্যে। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দোপাধ্যায় এবং শ্রীলেখা মিত্রের সাম্প্রতিক ‘ক্যাটফাইট’ প্রসঙ্গে। আসলে ঘটনার সূত্রপাত হয় বাংলার এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে দেওয়া কণীনিকার সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে।
সম্প্রতি এই সাক্ষাৎকারে নাম না করেই ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন ক্ষমতাশালী প্রযোজক-পরিচালকদের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন কণীনিকা। টেলিপাড়ার প্রযোজক-পরিচালকদের সঙ্গে অভিনেত্রীর ঝামেলার কথা উঠলে তা নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েই কনীনিকা বলেছিলেন, ‘এ নিয়ে কথা না বাড়ানোই ভাল। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই খুব ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। আমায় তো করেকম্মে খেতে হবে।’
এই খবর নজরে আসতেই উল্টে কণীনিকার দিকেই আঙুল তোলেন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম স্পষ্টবাদী নায়িকা শ্রীলেখা মিত্র। তাঁর দাবি, ইন্ডাস্ট্রিতে ক্ষমতাশালী প্রযোজক-পরিচালকদের বিরুদ্ধে কণীনিকা এখন সুর চড়ালেও, একটা সময় তিনি নিজেও যখন এই একই অভিযোগ এনেছিলেন তখন সম্ভবত এই কণীনিকাই তাঁর পাশে দাঁড়াননি। বরং তখন উল্টো কথা বলেছিলেন।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৪ ই নভেম্বর বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুতে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। স্বজনপোষনের অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছিল বলিউড,সেই আঁচ এসে পড়েছিল বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। সে সময় নাম করেই টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি বলে পরিচিত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্বজনপোষনের অভিযোগ এনেছিলেন খোদ শ্রীলেখা মিত্র। যা নিয়ে কার্যত উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলা ইন্ডাস্ট্রিও।
তাই এদিন কনীনিকার মুখে এমন অভিযোগ শুনে শ্রীলেখার আফশোষ, “কিছু দিন আগে আমিও একই ধরনের অভিযোগ করেছিলাম। টলিউডের স্বজনপোষণ নিয়ে মুখও খুলেছিলাম। তবে সম্ভবত কণীনিকা তখন আমার বিপক্ষে কথা বলে। দাবি করে, টলিউডে স্বজনপোষণ নেই।” এর উত্তরে অবশ্য কণীনিকা বলেছেন, “শ্রীলেখাদি ‘সম্ভবত’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তার মানে উনি নিজেও নিশ্চিত নন। আমি ওঁর বিপক্ষেও দাঁড়াইনি। আবার টলিউডের স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে ওঁর মুখ খোলা নিয়ে কোনও মন্তব্যও করিনি কখনও। স্বজনপোষণ বা প্রিয়পাত্রের উপর আস্থার উদাহরণ কোথায় নেই! সর্বত্রই আছে। টলিউডও তার ব্যতিক্রম নয়।”