টলিউডের ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha mitra)। সোশ্যাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত সক্রিয় শ্রীলেখা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে আওয়াজ তোলেন, সরব হন। কলকাতায় নিজের সাধ্য মতো একটি সাধের ফ্ল্যাট কিনেছিলেন শ্রীলেখা। তবে আবাসনের প্রতিবেশীদের সাথে তার ঝামেলা নতুন নয়। এর আগেও পরশিদের সাথে তার মনোমালিন্য থানা পুলিশ অবধি গড়িয়েছিল। কিন্তু এবার এই ঝামেলা তুলকালাম হয়ে যায়, যার সূত্রপাত হয় রাস্তার কুকুর থেকে। কুকুর নিয়েই শ্রীলেখার সাথে তার পড়শিদের তর্কবিতর্ক ধুন্ধুমার হয়। আর তখন সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি লাইভে তুলে ধরেন অভিনেত্রী।
প্রথম লাইভে দেখা যায় শ্রীলেখার সঙ্গে কমপক্ষে ৮-১০ তর্ক জুড়েছেন৷ এবং তারাও বেশ মারমুখী ভঙ্গিতেই শ্রীলেখার সাথে কথা কাটাকাটি করছেন। কথপোকথনেই বোঝা যাচ্ছে, ঝামেলার বিষয় কুকুর। কেউ নাকি বলেছেন কুকুরকে বিষ দেওয়া হবে, আর এই নিয়েই শুরু ঝামেলা। শ্রীলেখাকেও বেশ উত্তপ্ত স্বরেই কথা বলতে শোনা যায়।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর ফের লাইভে আসেন অভিনেত্রী৷ এ সময় কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই অভিনেত্রী। শ্রীলেখা যে পশুপ্রেমী একথা কমবেশি সকলেই জানেন। রাস্তার কুকুরদের নিয়মিত কমপ্লেক্সের বাইরে খাবার দিতেন তিনি। আর তাতেই আপত্তি অন্যান্য আবাসিকদের। শ্রীলেখার অভিযোগ—তারা এসব কুকুরকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলবে। এ খবর শ্রীলেখা জানার পর পড়শিদের জিজ্ঞাসা করেন। তারপরই ঘটে এই ঘটনা।
কিন্তু এই ঘটনার পর মানসিক ভাবে প্রবল ভেঙে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে লাইভ করে তিনি জানান, আর এসব তিনি সহ্য করতে পারছেন না। তাই কমপ্লেক্স ছেড়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। অনলাইভ তিনি এও জানান, ‘আমি কিছু দিন আগে বাবাকে হারিয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে মানসিকভাবে ভালো নেই। মুখের উপর অপ্রিয় সত্যটা বলে দিই। এ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অনেককে চটিয়েছি। আসলে আমার একার পক্ষে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি আমার রক্ত পানি করা টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাটটি কিনেছি। কিন্তু এখানে আর থাকব না। এই কমপ্লেক্স ছেড়ে দেব।’
তিনি আরও বলেন, —‘আমি একটি কমপ্লেক্সে থাকি। গত সেপ্টেম্বরে এই কমপ্লেক্সে উঠেছি। এটাকে বড়লোকদের বস্তি বলব। তারা মনে করে, কমপ্লেক্স মানে সেখানে বাইরের কোনো কুকুর আসতে পারবে না। আসার পর থেকে পড়শিদের সঙ্গে এসব নিয়ে লেগেই আছে। আমার সঙ্গে কেউ কথা বলে না। আমাকে অশান্তিতে রাখার নানা পরিকল্পনা করছে তারা।’