জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ডান্স রিয়ালিটি শো ‘ডান্স বাংলা ডান্স’। এবার একেবারে নতুন মোড়কে শুরু হয়েছে ডান্স বাংলা ডান্স সিজন ১১ (Dance Bangla Dance Season 11)। করোনা আবহে গৃহবন্দী মানুষদের মনোরঞ্জন করা এই শো-এর অন্যতম উদ্দেশ্য। তাই প্রতি সপ্তাহের শেষে নাচের মাধ্যমেই জীবনের সমস্ত না পাওয়া,সব দুঃখ-কষ্ট, তুলে ধরেন এই অনুষ্ঠানের প্রতিযোগীরা। এছাড়াও উঠে এসেছে তাঁদের ব্যাক্তিগত জীবনের নানা সংগ্রামের মধ্যে দিয়েও নাচ কে বাঁচিয়ে রাখার গল্প।
প্রতি বছরের মতো এবছরও ডান্স বাংলা ডান্স নিয়ে প্রতিযোগিদের মতোই দর্শকদের মধ্যেও উত্তেজনার পারদ ছিল চরমে। তবে এবছর এই শোয়ে প্রতিযোগীদের জন্য বয়সের কোনো সীমারেখা নেই। তাই বরাবরের মতোই ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চ থেকে নাচই পাবে অগ্রাধিকার। এই মঞ্চ থেকে অতীতেও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অনেকের, এবারও যে তার অন্যথা হবে না তাই বলাই বাহুল্য।
এবছর বিচারকদের আসনে রয়েছেন বলিউডের ডান্সিং স্টার গোবিন্দা(Govinda) , বাংলার সুপারস্টার জিৎ গাঙ্গুলী (Jit Ganguly)এবং টলি অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী( Subhashree Ganguly)।এছাড়া প্রতিযোগীদের গুরু হিসাবে একদিকে রয়েছেন টলি পাড়ার পরিচিত মুখ ওম সাহানি এবং দেবলীনা কুমার আর অন্যদিকে রয়েছেন অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র এবং সৌমিলী বিশ্বাস । এছাড়াও অঙ্কুশ আর বিক্রমের সঞ্চালনায় নতুন মাত্রা পেয়েছে গোটা শো। প্রতি সপ্তাহের মতোই এই সপ্তাহে শো-য়ের বিশেষ অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী(Shrabanti Chatterjee)।
উল্লেখ্য টলিউডে দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় করে চলেছেন শ্রাবন্তী-শুভশ্রী। আলাদা আলাদা ভাবে নিজেদের কমার্শিয়াল সিনেমার প্রয়োজনে নাচ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের তবে এখনও পর্যন্ত তাঁরা একসাথে কোনো সিনেমায় কাজ করেননি। আর এদিনের এপিসোডে অনুষ্ঠানের দুই প্রতিযোগিনী অহনা এবং অহনার মা জনপ্রিয় বলিউড সিনেমা ‘বাজিরাও মাস্তিনি’র ‘পিঙ্গা দ্যা পুরি’ গানে নাচ করে বিচারকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। আর সেইসময় বিচারকের আসনে উপস্থিত দুই নায়িকা শ্রাবন্তী -শুভশ্রী কেও ওই গানে নাচ করার জন্য অনুরোধ করেন জিৎ।
এরপরেই ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে দেখা যায় দুই টলি অভিনেত্রীর সুন্দর ডান্স পরফম্যান্স। এদিন অভিনেত্রী শুভশ্রীর পরনে ছিল গোলাপি রঙের একটি গ্রাউন এবং অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর পরনে ছিল সবুজ রঙের একটি আনারকলি। কিন্তু তাঁদের এই নাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয় বিপত্তি। প্রশংসার পাশাপাশি আসতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
কেউ লিখেছেন, ‘এটা নাচ?এর থেকে আমাদের পাড়ায় দুর্গা পুজোর বিসর্জনের সময় ভালো নাচ হয়।এই নাচ দেখে আবার ওই বিষাক্ত মাল টা ওহ, আহা করছে।জঘন্য একটা শো।’ আবার কেউ লিখেছেন, “নাচ এটা? দুটো ডাব্বা ঘুরছে মনে হচ্ছে।”