বর্তমান সমাজে বিশেষ করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বৈবাহিক জীবনের জটিলতা যেন একটা ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে । বিয়েই যে সম্পর্কের শেষ পরিণতি নয় আমাদের চারপাশে তার উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। এক্ষেত্রে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁর কথা প্রথমেই মাথায় আসে তিনি হলেন,টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Shrabanti Chatterjee)। বারবার সম্পর্কে বিশ্বাস করে ঠকেছেন তিনি। তবুও ভালোবাসা শব্দটার প্রতি আস্থা হারাননি নায়িকা।
প্রথম, এবং দ্বিতীয় বিয়ের পর তৃতীয় বিয়ে নিয়েও বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক টানপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন নায়িকা।সম্প্রতি যা স্বামী রোশন সিং (Roshan Singh) এর সঙ্গে ভার্চুয়াল সংঘাতের রূপ নিয়েছে। একবছরের বেশি সময় ধরে আলাদা থাকেন দুজনে। বিবাহ বিচ্ছেদ হবার জন্য চলছে মামলা, যদিও রোশন ফিরে পেতে চান শ্রাবন্তীকে এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও শেষমেশ কি হবে সেটা সময়ই বলবে।
অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর মতে, ‘ বিয়ের সম্পর্কের ওপর থেকে ভরসা উঠে যায়নি। তবে এটা ঠিক যে এবার সম্পর্কে জড়াবার আগে দশবার ভাববেন তিনি। সম্প্রতি ক্যালকাটা টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। এছাড়াও অভিনেত্রী আরো জানান যে, ‘এই মুহূর্তেই আমার মানসিক অবস্থা এমন নেই যে আমি প্রেম বা বিয়ের কথা ভাববো। তবে হ্যাঁ ভালোবাসায় আমি কোনো বিশ্বাসী।
যদিও অভিনেত্রী নিজের মুখেই জানিয়েছেন যে তিনি এই মুহূর্তে প্রেম বা বিয়ের কথা ভাবছেনই না। কিন্তু ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ী অভিরূপ নাগের সাথে নাকি প্রেমে পড়েছেন শ্রাবন্তী এমনটাই গুঞ্জন ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে টলিপাড়ায়। এই বিষয়ে প্রশ করা হলে উত্তর দিয়েছেন অভিনেত্রী। শ্রাবন্তীর মতে, ‘আমি হলাম কন্ট্রোভার্সি কুইন! লোকে আমায় নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলে’। তবে অভিরূপ ও শ্রাবন্তী দুজনেই খুব ভালো বন্ধু। তবে অভিরূপ যেহেতু সিঙ্গেল তাই হয়তো শ্রাবন্তীর সাথে নাম জড়ানো হচ্ছে তার। এই ব্যাপারটাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ দুজনেই।
দুজনে শুধু ভালো বন্ধু বলার পর অভিনেত্রীকে আবারো প্রশ্ন করা হয়েছে। অভিরূপের জন্মদিনে সে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি আংটির ছবি পোস্ট করেছিল। ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা ছিল বিশেষ মানুষের থেকে পাওয়া। সেই সূত্রেই শুরু হয়েছিল জল্পনার। সেই প্রসঙ্গে কি মত অভিনেত্রীর? এর উত্তরে শ্রাবন্তী জানিয়েছেন লোকে দেখেছে বিশেষ কারোর দেওয়া গিফট। কিন্তু কোথাও কি লেখাছিল যে আমি দিয়েছি? বিশেষ কেউ তো পরিবারের কেউও হতেই পারে। কারোর ব্যাপারে কিছু একটা ভেবে নেওয়াটা খুব সহজ। তাই মানুষ যা ইচ্ছা তাই ভাবে।