চুল বড় রাখলে যেমনি সুন্দর লাগে দেখতে ঠিক তেমনই আবার তার ঝক্কিও মেলা। এমনিতেই আজকাল দিনে চুলের নানান সমস্যায় ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে পড়ে মানুষ। আর তার মধ্যেও ফ্যাশনেও কম যায়না কেউ। আর তাই চুলে কালার করা থেকে শুরু করে অনন্য সকল অত্যাচারই চলে চুলের উপর। আর তাই চুলের ক্ষতি হতে খুব একটা বেশি সময় নেয়না।
এছাড়াও আজকালকার দিনে এত পরিমান প্রাকৃতিক দূষণের ফলে ফলে চুলের সমস্যা যেন কিছুতেই পিছন ছাড়ছে না। আর তাই চুল পড়ার সমস্যার পাশাপশি দেখা যায় চুলের ডগা ফাটার সমস্যাও। কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় অনেকের কাছেই অজানা। তবে, আজ আপনাদের বলবো কিভাবে এই সমস্যা থেকে নিমেষেই মুক্তি পেতে পারেন।
তবে, তাঁর আগে যেটা করতে হবে সেটা হল প্রতিদিন চুল ভালো করে আঁচড়ে নিতে হবে। আর তারজন্য অবশ্যই মোটা দাঁতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। এমনকি চুলের জট ছাড়িয়ে রাখতে হবে সবসময় যাতে চুল ভাঙার সম্ভবনা অনেক অংশেই কমে যায়। এছাড়াও চুল সবসময় বেঁধে রাস্তায় বেরোনোর চেষ্টা করুন। এতে চুল ড্যামেজ হবে কম। আর রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই বিনুনি করে শুতে হবে।
এছাড়া চুলে যতটা পারবেন কালার, হিট এসব এভয়েড করবেন। আর যদিও ব্যাবহার করেন তাহলে চেষ্টা করবেন কম তাপমাত্রা তে করার। এছাড়াও আজ কিছু ঘরোয়া টোটকা বলবো আপনাদের যার যেগুলি ব্যাবহার করলে নিমেষেই আপনার চুলের সমস্যা দূর হবে। আর তারজন্য কতগুলি প্যাক ব্যাবহার করতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কি কি
১.অলিভ অয়েল ও মধু (Olive Oil & Honey)
এই দুটো উপাদানই আমাদের চুলের জন্য খুবই কার্যকরী। তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। আর তারপর পরিষ্কার চুলে সেটি ব্যাবহার করে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর আধঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। তাতে চুলের সমস্যা অনেকাংশে নির্মূল হবে।
২. টকদই, অ্যালোভেরা জেল ও গোলাপজল (Sour Yogurt, Aloe Vera Gel & Rosewatar)
টকদই, অ্যালোভেরা জেল ও গোলাপজলকে একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগান। এরপর আধঘন্টা রেখে চুল ধুয়ে নিন।
৩.পাকা পেঁপে, টকদই, গোলাপ জল (Papaya, Sour Yogurt & Rosewatar)
প্রথমে পাকা পেঁপেটাকে মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর তাঁর মধ্যে দই ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রনটিকে পুরোপুরি তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেটিকে মাথায় লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর আধঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪.নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড তেল (Coconut Oil, Olive Oil, Almond Oil)
নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড তেল এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে সারারাত চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারফলে চুলের ডগা ফাটা অনেকটাই কমে যাবে।
৫.নারকেল তেল ও ভিটামিন অয়েল (Coconut Oil & Vitamine Oil)
চুলের উপকারে নারকেল তেল ও ভিটামিন অয়েলের গুনগুনের কোন তুলনাই হয় না। এক টেবিল চামচ ভিটামিন অয়েল ও এক টেবিল চামচ নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে সেটি গরম করে নিতে হবে। এরপর এটি ছিল ডগায় লাগিগে সারারাত রেখে দিতে হবে। এরফলে চুলের ডগা ফাটা অনেক কমবে।
তবে, শুধুমাত্র জিনিষ ব্যাবহার করলেই হয়না। তারসঙ্গে প্রচুর পরিমানে জল, ফল, শাকসবজি খেতে হবে। আর এই সব কিছু মেনে চললেই আপনার চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে ও স্বাস্থ্যজ্বল।