গত বছরের অন্যতম সফল ছবি ছিল ‘কেজিএফ চ্যাপ্তার২’(KGF Chapter 2) । মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছিল এই সিনেমাটি। শুধুমাত্র ভারতেই নয়, বিদেশের বক্স অফিসেও দারুণ ব্যবসা করেছিল কন্নড় সুপারস্টার যশ (Yash) অভিনীত এই সিনেমা। এই ‘কেজিএফ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির হাত ধরেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল যশের জনপ্রিয়তা।
খুব কম সময়ের মধ্যেই সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিতি আদায় করে ফেলেছেন পর্দার রকি ভাই। কন্নড় সুপারস্টারের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এই ‘কেজিএফ’ ফ্র্যাঞ্চাইজিই। এখন দক্ষিণ ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ স্থানীয় অভিনেতাদের তালিকায় গণ্য করা হয় তাঁকে।
অপরদিকে সাউথের প্রথম সারির অভিনেতাদের তালিকার উপরের দিকেই যে শিল্পীর নাম থাকবে তিনি হলেন পর্দার ‘বাহুবলী’ (Baahubali) তথা প্রভাস (Prabhas)। এস এস রাজামৌলী পরিচালিত ‘বাহুবলী’ ছবির হাত ধরে দেশ জোড়া খ্যাতি আদায় করে নিয়েছেন তিনি।
প্রভাস এবং যশ এই দুই তারকার কেরিয়ারই এখন তুঙ্গে। জনপ্রিয়তার নিরিখে যদি বিচার করা হয়, তাহলে কেউ কারোর থেকে কোনও অংশে কম যান না। সেই জন্য এখন তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বাহুবলী নাকি রকি ভাই, অর্থের দিক থেকে কে এগিয়ে? আজকের প্রতিবেদনে সেই উত্তরই দেওয়া হল।
গত ২০ বছর অর্থাৎ প্রায় দু’দশক ধরে তেলেগু চলচ্চিত্র জগতে কাজ করছেন প্রভাস। এই মুহূর্তে তাঁর মাসিক আয় গড়ে ৩ কোটি টাকা। বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৪০ কোটি টাকা। হায়দ্রাবাদের ফিল্ম সিটিতে তাঁর একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়ির গ্যারেজে সাজানো রয়েছে বিশ্বের একাধিক দামি গাড়ি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রভাসের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২১৫ কোটি টাকা।
অপরদিকে ‘বাহুবলী’ খ্যাত প্রভাসের তুলনায় কম কাজ করেছেন ‘কেজিএফ’ তারকা যশ। গত ১২ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত পর্দার রকি ভাই। এখন প্রত্যেকটি ছবির জন্য ২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। মাসিক উপ্রাহন প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এই সাউথ সুপারস্টারের বেঙ্গালুরুতে একটি ডুপ্লেক্স রয়েছে। প্রভাসের মতোই যশের বাড়িতেও সাজানো রয়েছে একাধিক লাক্সারি গাআরি। মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এই মুহূর্তে যশের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা।