বাঙালির কাছে গর্বের আরেক নাম সৌরভ গাঙ্গুলী। ২২গজের ময়দান হোক কিংবা টিভির পর্দা, মহারাজের উপস্থিতি মানেই হাজার হাজার নতুন মুহুর্তের সাক্ষী হওয়া। গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর থেকে জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে ‘দাদাগিরি সিজন ৯’ (Dadagiri season 9)। প্রত্যেক বছরের মতো চলতি সিজনেও এই শোয়ের সঞ্চালনার দায়ীত্বে রয়েছেন প্রিন্স অফ কোলকাতা তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly)।
প্রতি সপ্তাহেই এই শোতে আম জনতার পাশাপাশি এসে উপস্থিত হন বিনোদন জগতের একঝাঁক তারকা। তেমনই গতকাল এই শোতে হাজির হয়েছিলেন বাংলা বিনোদন জগতের একাধিক জনপ্রিয় মুখ। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র,ঋষি কৌশিক, ভাস্কর ব্যানার্জী, সৌরভ দাস, এবং প্রীতি বিশ্বাস।
এমনিতে বরাবরই ফ্যামিলি ম্যান হিসাবে পরিচিত সৌরভ গাঙ্গুলীর কথায় প্রায়ই উঠে আসে তার স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলী (Dona Ganguly) এবং মেয়ে সানার (Sana) কথা। আর এদিন দাদাগিরির মঞ্চে গিয়ে কথায় কথায় অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা (Rupanjana Mitra) মহারাজের কাছে জানতে চান পড়াশোনার জন্য সানা এবং স্ত্রী ডোনা লন্ডনে থাকায় তার এই একা থাকার অনুভূতিটা কেমন।
তখনই স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলী জানান মেয়ে-বউ বাড়িতে না থাকায় মাঝেমধ্যেই একা লাগে তার। কিছুদিন আগেই সানাকে ভর্তি করতে সৌরভ ও ডোনা দু’জনেই গিয়েছিলেন লন্ডনে। উল্লেখ্য সানা এখন উচ্চ শিক্ষার জন্য লন্ডনের গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। কিন্তু মেয়েকে একা ছাড়তে পারেননি মহারাজ।
এপ্রসঙ্গে এদিন সৌরভ বলেন ‘আমি একটা ১৯ বছরের মেয়েকে সেন্ট্রাল লন্ডনে একা ছাড়তে পারিনি। আমার স্ত্রীও ওর সাথে থাকে। কারণ ওখানে কোনও কলেজেই ক্যাম্পাসের মধ্যে হোস্টেল নেই। ওরা আমাদের লন্ডনের বাড়িতেই থাকে। এখানে আমি খুব একা হয়ে গিয়েছি’। তাই বাবা হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হলেও সৌরভ মনে করেন একটা বয়সের পর উন্নতির জন্য ছেলে-মেয়েকে তো ছাড়তেই হয়।