বলিউডে প্রচলিত আছে বিচ্ছেদের পর যদি কোনো জুটি এক সাথে পর্দায় আসে, তবে সেই সিনেমা অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়। সে রনবীর – দীপিকার ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যাঁয় দিওয়ানি’ বলুন বা শাহিদ – করিনার ‘জব উই মেট’। বাস্তব জীবনে বিচ্ছেদ হলেও তাদের জুটি পর্দায় হয়েছে সুপার ডুপার হিট। এই একই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল এই সময়কার টলিউডের জনপ্রিয় জুটি মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarkar) ও সৌরভ চক্রবর্তীর (Sourav Chakraborty) এর কাছে।
মধুমিতা এবং সৌরভ দুজনেই দুজনের পেশাগত ক্ষেত্রে বেশ প্রতিষ্ঠিত। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ওয়েবসিরিজে কাজ করে ফেলেছেন সৌরভ, অন্যদিকে মধুমিতাকেও দেখা গিয়েছে প্রীতম দাসগুপ্তের ছবি ‘লভ আজকাল পরশু’ ছবিতে, সম্প্রতি মৈনাক ভৌমিকের ছবি ‘চিনি’তে টলিউডের তাবড় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর (Aparajita Adhya) সঙ্গে পর্দা ভাগ করেন মধুমিতা।
তবে কেরিয়ারের গ্রাফ তরতরিয়ে উঠলেও ব্যক্তিগত জীবন মোটেও সুখকর নয় অভিনেত্রীর। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির আরেকজন জনপ্রিয় মুখ সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী৷ ২০১১ সাল থেকে কোনো এক সিরিয়ালের সেট থেকে প্রেম তাদের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সৌরভের সঙ্গে খুব বেশিদিন সংসার করতে পারেননি মধুমিতা।
যদিও খাতায় কলমে এখনো তারক স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু তাদের মধ্যে যোগাযোগ টুকুও নেই বলেই জানিয়েছেন সৌরভ। বাস্তব জীবনে তাদের বিচ্ছেদ এতটাই গুরুতর তার ছাপ পড়েছে পেশাগত জীবনেও। সৌরভ সাফ জানান, মধুমিতার সঙ্গে তিনি কোনো ছবি করতে চাননা, এবং মধুমিতারও এক্ষেত্রে অসুবিধা হবেন বলেই জানান তিনি।
সৌরভের কথায়, ‘‘আমার কাছে আড়াই ঘণ্টার ছবির সাফল্যের চেয়ে একসঙ্গে জীবন যাপন করার সাফল্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার মা ও বাবা ঠিক যে ভাবে সারা জীবন কাটিয়েছে। আড়াই ঘণ্টার জন্য এটা করতে চাই না। প্রয়োজন নেই বলেই মনে হয় আমার।’’