জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে, বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে”! আজও ফেলুদা পড়তে বসলেই আমরা চেতনায় দেখতে পাই সৌমিত্র বাবুকেই।জীবন সংগ্রামে লড়ে চলা সেই অক্লান্ত অপু আজও বল জোগায় বেকার যুবকদের বুকে। হীরক রাজাদের গদি একাই টলিয়ে দিতে পারে উদয়ন পন্ডিতেরা। কিন্তু অবশেষে পথের খোঁজ না পেয়ে ‘তিন ভুবনের পারেই’ চলে গিয়েছেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গতবছর ১৫ ই নভেম্বর বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেনন অভিনয় জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
কিন্তু শারিরীকভাবে তিনি জগৎ থেকে বিদায় নিলেও যতদিন বাংলা সিনেমা থাকবে ততদিন বেঁচে থাকবেন সৌমিত্র বাবু। তার ব্যক্তিত্ব, জীবনবোধ স্মরণ করে অপর্ণা সেনের স্মৃতিতে উঠে এলো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার কিছু টুকরো টুকরো ছবি।
সহ অভিনেত্রী হিসেবেও যেমন অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন পরিচালক হিসেবেও করেছেন। একে অপরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথায় সৌমিত্র বাবু বেঁচে থাকাকালীন অপর্ণা সেন বললেন, “ওঁর কথা বলব না নিজের কথা বলছি, ওঁর সঙ্গে কাজ করতে আমার সমসময়ই একটা বাড়তি আগ্রহ থাকে। ভাল একজন শিল্পীর সঙ্গে কাজ করার আলাদা আনন্দ রয়েছে। পথ চেয়ে থাকি কখন আবার কাজ করতে পারব।”
সৌমিত্র বাবু নিজে কোনো ছবি পরিচালনা করলে সেটা যে আবারো একটি ইতিহাস তৈরি করতে পারত সে বিষয়ে সন্দেহর অবকাশ নেই। এই কথা বহুবার নাকি অভিনেতাকে বলেওছিলেন অপর্ণা সেন। কিন্তু সৌমিত্র বাবু কান দেননি। অপর্ণা সেন এই প্রসঙ্গে জানান, “শেষদিকে সৌমিত্র বাবুর অভিনয় করতে আর ভালোলাগতো না। সেখানে মনে হয়, উনি নিজের লেখা গল্প দিয়ে ছবি তৈরি করলে সেটা পাওনা হত। উনি যে করেন নি তা নয়, আমি তো দেখেছি ওঁর ‘স্ত্রীর পত্র’। প্রত্যেকবার যখনই দেখা হত একবার করে বলতাম। কিন্তু আমাকে পাত্তাই দিতেন না।”