আজ থেকে দু’বছর আগে যখন গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারীর চোখ রাঙানিতে গৃহবন্দী, তখন আমাদের দেশে সকলের জন্য ভগবানের দূত হয়ে ধরা দিয়েছিলেন সোনু সুদ (Sonu Sood) । পর্দার খলনায়ক রাতারাতি হয়ে ওঠেন বাস্তবের সুপারহিরো (Superhero)। দেশবাসী তাকে ভালোবেসে নাম দিলেন ‘গরিবের মসিহা’ (Masiha) ।
কখনও ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে তাদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন আবার কখনও দেশের বাইরে আটকে পড়া পড়ুয়াদের নিজের দায়ীত্বে ফিরিয়ে এনেছেন দেশে।করোনাকালে তিনি যেভাবে গোটা দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তা মানুষ আজীবন মনে রাখবেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের শুধু ঘরে পৌঁছে দেওয়া , কিংবা খাবার জোগাড় করাই নয়, পাশে দাঁড়িয়েছেন যে কোনো প্রয়োজনে।
দেশের অসংখ্য বেকার মানুষের কাজও খুঁজে দিয়েছেন সোনু। যার জন্য একসময় নিজের হেল্প লাইন নাম্বার পর্যন্ত খুলেছিলেন অভিনেতা। মানুষের যে কোনো সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি। তবে একটা সময় ছিল যখন অভিনেতার নিজের জীবন কেটেছে বিরাট সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে।
সালটা ছিল ১৯৯৮। সেসময় পকেটে মাত্র সাড়ে ৫ হাজার টাকা আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে মায়ানগরী মুম্বাই এসেছিলেন অভিনেতা। অভিনেতার সেসময়টা কেটেছিল কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। অন্যান্য সংগ্রামীদের সাথে ছোট্ট ঘরে দিন কাটিয়েছেন সেইসাথে এক নাগাড়ে দিতেন অডিশন। তবে নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তিনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সোনু।
#MiddayEntertainment |#SonuSood, godfather for those who don’t have one
Via: @upalakbr999@SonuSood#EntertainmentUpdates #EntertainmentNews https://t.co/10TwSo6Jg8
— Mid Day (@mid_day) July 7, 2022
তবে এই মুম্বাই শহরে এমন অনেকে নতুন প্রতিভা আছেন যারা ঠিকমতো নিজেদের প্রতিভাকে তুলে ধরতেই পারেন না। কারণ তাদের পিছনে কোনো গডফাদার (Godfather) থাকে না। তাই তাদেরকে বিনামূল্যে সমস্ত রকমের প্রশিক্ষণ দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন সকলের মাসীহা সোনু সুদ। তাই যে সমস্ত নতুন প্রতিভা ছোট শহর কিংবা মফস্বল থেকে এসে মুম্বাই এর মতো শহরে জায়গা করে নিতে পারে না তাদেরকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ওয়ার্কশপে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে সোনু সুদের চ্যারিটি ফাউন্ডেশন।