বলিউডের অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। বলিউডে বেশিরভাগ ভিলেনের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন অভিনেতা। তবে লকডাউনের সময় থেকে অভিনেতা অন্য এক রূপ দেখতে পেয়েছে গোটা দেশ তথা সারা বিশ্ব। কঠিন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই সবের পর থেকেই গরিবদের মাসিহাতে পরিণত হয়েছেন সোনু সুদ।
অসংখ্য মানুষের জন্য যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন সোনু সুদ। কারোর বাবার গলব্লাডার অপারেশন, তো কারোর পায়ের অপারেশনেই দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। আবার কখনো লকডাউনে পড়াশোনা না করতে পারা ছাত্র ছাত্রীদের মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া থেকে শুরু করে গ্রামে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে মোবাইল টাওয়ার পর্যন্ত বসিয়েছেন সোনু সুদ। ঠান্ডায় কাঁপ তে থাকা গ্রামের বৃদ্ধ মানুষদের জন্য ঠান্ডার পোশাকের ব্যবস্থা করেছেন সোনু।
সোনু সুদকে অনেকেই ভগবানের দরজা দিয়েছেন। আর ভগবান তুল্য সোনু সুদের নাম মন্দির পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেছেন গ্রামবাসীরা। তেলেঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলার ডাব্বা টান্ডা গ্রামে সোনু সুদের নাম এই মন্দির রয়েছে। মন্দিরে শিল্পী মধুসূদন পাল সোনু সুদের একটি মূর্তি বানিয়েছেন। যেটাকে সকলেই দুবেলা সোনু সুদকে পুজো করেন নিয়মিত। অবশ্য এই খবর পেয়ে আপ্লুত সোনু সুদ বলেছেন, ‘ আমি এতটা সম্মানের যোগ্য কিনা তা সত্যি জানা নেই! তবে আমি সকলের থেকে পাওয়া ভালোবাসায় আপ্লুত’।
সোনু সুদের এই কাজ দেখে অনেকেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। এরখমই এক ব্যক্তি হলেন হায়দ্রাবাদের শিবা নামের এক ব্যক্তি। শিবা একজন দক্ষ সাঁতারু, বহু মানুষকে জলে ডুবে আত্মহ্ত্যা করার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন শিবা। হায়দ্রাবাদের হুসেন সাগর ঝিলে ঝাঁপ দিয়ে অনেকেই আত্মহত্যা করতে চান, সেই সমস্ত মানুষকে বাঁচিয়ে আনেন শিবা।
শিবার এই কাজে অনেকেই তাকে সাহায্য করে ও অনুদান দে। এবার অনুদানের জমানো টাকা দিয়ে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে একটি একটি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করলেন শিবা। আর এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার নাম রেখেছেন সোনু সুদ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা (Sonu Sood Ambulance Pariseva)। এই কাজের জন্য সোনু নিজেকে শিবার কাছে কৃতজ্ঞ বলে দাবি করেছেন। সোনু সুদ নিজেই হাজির হয়েছিলেন সেই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার উদ্বোধনে।