নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সুন্দরী ও প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীর নাম উঠলেই বলতে প্রথমেই উঠে আসে সোনালি বেন্দ্রে। অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি সংগ্রামী মনোভাবের একজন মানুষ তিনি। ক্যান্সারের সঙ্গে মতো মারণরোগকে হারিয়ে ফিরে এসেছেন নিজের কাজের জায়গায়! কাজের প্রতি তাঁর কদর বরাবরই চোখে পড়ার মত। কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন সব ক্ষেত্রেই নিজের মত করে চলেছেন ও সাফল্য পেয়েছেন অভিনেত্রী।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া দৌলতে ‘বডি শেমিং’ নিয়ে মাঝে মধ্যে তর্ক বিতর্ক দেখা যায়। এবার বডি শেমিং নিয়ে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী সোনালী বেন্দ্রে । তাঁর মত সফল অভিনেত্রীর মুখেও শোনা গেল শরীর নিয়ে কটাক্ষ হওয়ার গল্প! সাম্প্রতি কালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কেরিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর ওজন ছিল একেবারেই কম। আর ওজন কম হওয়া নিয়ে প্রতিনিয়ত হাসির খোরাক হয়েছিলেন তিনি।
সহকর্মী থেকে পরিচালক অনেকেই তাঁকে তাঁর ওজন নিয়ে নানা ভাবে ব্যাঙ করতেন। রোগা পাতলা হাড়গোড় বেরিয়ে যাওয়া চেহারার জন্য কম কটূকথা শুনতে হয়নি তাকে। তাই বডি শেমিং নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল একপ্রকার ভয়ানক। শরীরে মেদ না থাকায়, তাঁকে মেয়েদের তালিকাতেও ফেলা হত না বলেও জানান অভিনেত্রী। তাকে শুনতে হয়েছিল বুক ও পিছনে আরও বেশ করে মেদ জমানোর উপদেশ।
এই প্রসঙ্গে, সোনালির স্মৃতিতে উঠে আসে একটি পুরোনো মন্তব্য, ‘৯০ এর দশকে স্কিনি হওয়া মানেই সৌন্দর্যকে বোঝাত না! বরং অতিরিক্ত মেদবহুল শরীরকেই সৌন্দর্যের তকমা দেওয়া হতো। আমাকে বলা হয়েছিল যে আপনি যদি মেদবহুল ও শরীরের একাধিক ভাঁজযুক্ত না হন তবে আপনি একজন মহিলা নন’।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আগ’ ছবির হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সোনালি। সোনালী ছাড়াও ছবিতে সহকর্মী হিসেবে ছিলেন গোবিন্দা, শিল্পা শেঠি এবং শক্তি কাপুরের মতো বিশিষ্ট তারকারা । এরপর ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘দিলজলে’ ছিলো তার কেরিয়ারের প্রথম বড়ো হিট। এরপর মেজর সাব, সরফারোশ, হাম সাথ সাথ হ্যায়-এর মতো সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
শুধু সিনেমাই নয়, তাকে দেখা গেছে ইন্ডিয়াজ বেস্ট ড্রামেবাজ, হিন্দুস্তান কে হুনারবাজ, ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট এবং ইন্ডিয়ান আইডল-এর মতো রিয়েলিটি টেলিভিশন শো-এর বিচারকের আসনে। নব্বইয়ের এই লাস্যময়ী অভিনেত্রীর ফ্যান ফলোয়ার্স সংখ্যাও চোখে পড়ার মত। এখনো দাপটের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছেন নব্বইয়ের এই লাস্যময়ী।