বাংলা সিরিয়ালগুলির (Bengali Serials) বিরুদ্ধে একটি জিনিস নিয়ে মাঝেমধ্যেই বেশ চটে যান দর্শকেরা। তা হল, সিরিয়ালগুলির গাঁজাখুরি সব গল্প। যেভাবে মাঝেমধ্যে কিছু কিছু সিরিয়ালে গল্পের গরুকে গাছে তুলে দেওয়া হয়, তা একেবারেই পছন্দ হয় না দর্শকদের একাংশের। সম্প্রতি যেমন সিরিয়ালগুলির বিরুদ্ধে উঠেছে আইপিএস অফিসারদের (IPS officer) ‘অপমান’ করার মতো গুরুতর অভিযোগ।
এখন বেশ কিছু ধারাবাহিকে নায়ক, নায়িকা থেকে পার্শ্ব চরিত্রদের বড় বড় পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে। এনাদের মধ্যে কেউ আইপিএস অফিসার, আবার কেউ স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার। তবে এত বড় পোস্টে কর্মরত দেখানো হলেও, তাঁদের সেই পেশাকে যথেষ্ট সম্মান করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন দর্শকদের একাংশ। বরং এমন সম্মানীয় পোস্টকে সিরিয়ালগুলিতে বড্ড বেশি পরিমাণে ঠুনকো দেখানো হচ্ছে।
এই অভিযোগের আঙুল উঠেছে ‘গুড্ডি’, ‘মিঠাই, ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে। এই সব সিরিয়ালেই দেখানো হচ্ছে আইপিএস, আইএএস অফিসারেরা থাকলেও তাঁরা ভারী ভারী সংলাপ বলা ছাড়া আর কিছুই করেন না। শেষ পর্যন্ত সবকিছু করেন নায়ক-নায়িকারাই।
‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকে যেমন অনুজ পুলিশ অফিসার। তবে সে এখন সব ভুলে গুড্ডির পিছনেই পড়ে আছে। আবার ‘মিঠাই’এ যেমন রয়েছে রুদ্রদা। এসিপি পোস্টে কর্মরত দেখানো হলেও, নীপাকে বিয়ে করার পর থেকে রুদ্রদা নিজেই এখন একের পর এক বিপাকে পড়ছেন। অপরদিকে সব সমস্যা সমাধান করে ফেলছেন মিঠাই এবং উচ্ছেবাবু। এমনকি বোমও নিষ্ক্রিয় করে ফেলছেন তাঁরাই।
খানিকটা একই গল্প দেখানো হচ্ছে, সদ্য শুরু হওয়া ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকেও। সেখানে নায়িকাকে একজন স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু সে ফোনে নিজের প্রেমিকের গলা শুনেই চিনতে পারে না। দর্শকদের প্রশ্ন, এ কেমন অফিসার! এমন অফিসার তো হাজার বার অপরাধীর গলা শুনলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে চিনতে পারবেন না!
আর সিরিয়ালগুলির এই গাঁজাখুরি বিষয়গুলি দেখেই বেশ চটে গিয়েছেন দর্শকদের একাংশ। বিশেষত, পুলিশ কর্তাদের স্ত্রী এবং মেয়েরা তো ভালো রকমের চটে গিয়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, সিরিয়ালগুলিতে পুলিশ অফিসারদের যেভাবে দেখানো হচ্ছে, তা কিন্তু একেবারেই ভালো সামাজিক বার্তা দিচ্ছে না।