বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল ‘গাঁটছড়া’ (Gantchora) ছাড়ছেন খড়ি (Khori) অভিনেত্রী সোলাঙ্কি রায় (Solanki Roy)। তবে এবার আর কোন জল্পনার অবকাশ রইল না! সত্যিই গাঁটছড়া ছাড়ছেন সোলাঙ্কি। দুদিন আগেই শনিবার অক্ষয় তৃতীয়া দিন সিরিয়াল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সরাসরি কিছু না বললেও গাঁটছড়া ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে এই অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘পরিবর্তন ছাড়া আর কোনও কিছু চিরন্তন নয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আমার এই সফরে ইতি পড়ল! একইসঙ্গে আনন্দ এবং দুঃখ হচ্ছে। তবে এবার মুভ অন করার সময় হয়ে গিয়েছে! আমি পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুন সফরের জন্য একেবারে প্রস্তুত’।
এই খবর শোনার পর থেকে রীতিমতো মন ভেঙে গিয়েছে গাঁটছড়া সিরিয়ালের খড়ি ভক্তদের। আসলে সিরিয়াল থেকে প্রধান নায়িকাই যে বিদায় নিচ্ছেন এ কথা যেন কিছুতেই মানতে পারছেন না দর্শক। তাই সোলাঙ্কির গাঁটছড়া ছাড়ার খবরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সকলেই জানতে চাইছেন এইভাবে মাঝ পথে কেন সিরিয়াল ছাড়ছেন তিনি?
সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েই এই সময় ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেত্রীর সাথে। প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন এই মুহূর্তে সিরিয়ালে তার ট্র্যাকটা শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন বাকিরা সিরিয়ালে যেমন অভিনয় করছেন তেমনি অভিনয় করবেন। এরপরে অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তাহলে কি জল্পনাই সত্যি হতে চলেছে? এবার ২০ বছর এগিয়ে যাবে গাঁটছড়ার গল্প?
এ প্রসঙ্গে সোলাঙ্কির জবাব ‘সময়টা নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না, তবে আমি পাকাপাকিভাবে বিদায় নিচ্ছি। অন্য কারও ট্র্যাক শেষ হচ্ছে না আমারই হচ্ছে’। প্রসঙ্গত এতদিন ধরে সিরিয়ালে অভিনয় করে মায়া পড়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর নিজেরও। তাই এ প্রসঙ্গে সোলাঙ্কি বলেছেন ‘মায়া তো জড়িয়ে যায়ই। তবে আমার চরিত্রের ট্র্যাক শেষ হল। গাঁটছড়া চলবে। আমি নিশ্চিত যে খুব ভালোভাবেই চলবে এই ধারাবাহিক। তবে ভবিষ্যতে আমাকে নতুন কাজে দেখতে পাবেন।’
সেই সাথে এদিন গাঁটছড়া ছাড়ার কারণ উল্লেখ করে সোলাঙ্কি জানিয়েছেন তাঁর শরীরটা নাকি বেশ কয়েকদিন ধরে ভালো যাচ্ছে না। যে কারণে স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিতেই গাঁটছড়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নিজের অগণিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রী বলেছেন ‘আমার নিজেরও খারাপ লাগছে এতদিনের একটা জার্নি শেষ হল। আমাদের অন স্ক্রিন রিলেশনশিপগুলো ব্যক্তিগত জীবনে অনেকটা প্রভাব ফেলে’।