ভালোবাসা যে বয়স, রূপ, জাত, মোটা, বেঁটে কালো রোগা এসব কিছু দেখেই হয়না তার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার প্রেমকাহিনি। কিন্তু আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব এমন দুজনের কথা যাদেরকে আপনারা প্রত্যেকেই চেনেন পৃথক পৃথক পরিচয়ে৷ একজন ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের ‘পুটু পিসি’, আর অন্যজন ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের ‘ডিঙ্কা’।
পুটিপিসি অর্থাৎ সোহিনী সেনগুপ্ত এবং সপ্তর্ষি মৌলিক ওরফে ডিঙ্কা অভিনয়ের দক্ষতায় মন জিতেছেন দর্শকদের। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন এই পুটু পিসি এবং ডিঙ্কা আসলে স্বামী-স্ত্রী। তাদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য প্রায় ১৪ বছর। ১৪ বছরের বড় শিক্ষিকার সোহিনীরই প্রেমে পড়েছিলেন সপ্তর্ষি।
পেশায় দুজনেই ছিলেন নাট্য শিল্পী, আর তাই নাট্যমঞ্চেই আলাপ হয় সপ্তর্ষি-সোহিনীর। নাট্যমঞ্চে সপ্তর্ষি তখন নতুন, সবে অভিনয় শিখছেন, অন্যদিকে সোহিনী তখন পোড়খাওয়া অভিনেত্রী আবার শিক্ষিকাও। ছাত্র প্রেমে পড়লেন শিক্ষিকার, ভুলে গেলেন বয়স, জাত, উচ্চতা, গঠনের গন্ডী।
কথা বলতে বলতে তাদের ধীরে ধীরে জমাট বাঁধল প্রেম। একদিন সোহিনীকে হঠাৎ করেই বিয়ের প্রস্তাব দিলেন সপ্তর্ষি। কিন্তু প্রথমে রাজী হননি অভিনেত্রী। কেননা এর আগে সোহিনীর আগের বিয়েটা সফল হয়নি, ২০০৬ সালেই ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের। তাই অসংখ্য আঘাত পেয়ে সোহিনী ভেবেছিলেন আর এসবে জড়াবেন না।
কিন্তু নাছোড়বান্দা প্রেমিক প্রস্তাব নিয়ে যান সোহিনীর বাবার কাছে। সপ্তর্ষীর বিনয়ী ব্যবহার এবং ছেলেমানুষীতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন সোহিনীর বাবা। অবশেষে ২০১৩ সালে সংসার পাতেন তারা। বিয়ের এতগুলো বছর কাটিয়েও আজও তারা ভীষণভাবে সুখী।