• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

‘বাবু’ কে ভালোবেসে! চিরিয়াখানা থেকে ‘শিম্পাঞ্জি’ দত্তক নিলেন সোহিনী সেনগুপ্ত এবং সপ্তর্ষি মৌলিক

Published on:

Sohini Sengupta Saptarshi Maulick, babu

করোনাকালে প্রায় নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে হচ্ছিল হট্টগোলপ্রেমী বাবুকে (Babu)। বাবুর দেখাশোনার ভার যাঁদের উপর তাঁদের বক্তব্য, স্বাভাবিকভাবেই মনখারাপের বশবর্তী হয়ে বাবু নাকি কমিয়ে দিয়েছিল খাওয়াদাওয়া। যদিও লকডাউন-পরবর্তী সময়ে বদলাচ্ছে বাবুর জীবন, একজোড়া অভিভাবক হিসেবে সোহিনী সেনগুপ্ত (Sohini Sengupta) ও সপ্তর্ষি মৌলিককে (Saptarshi Maulick) পেয়ে যে রীতিমত খুশি বাবু, তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না!

‘বাবু’ আসলে আলিপুর চিড়িয়াখানার খ্যাতনামা শিম্পাঞ্জি। চিড়িয়াখানার বাসিন্দাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাবু-ই। নানা অঙ্গভঙ্গি ও কসরত করার কারণেই জনমানসে এতটা বিখ্যাত বাবু। এই বাবুকেই সম্প্রতি দত্তক নিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব সপ্তর্ষি ও সোহিনী। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে সোহিনী জানান, “এটা আমার কাছে কোনো নতুন বিষয় নয়। আমার মা-বাবার শিক্ষার কারণেই ছোট থেকে আমি পশুপাখি ভালোবাসি। ছোটবেলা থেকেই আমার অনেক পোষ্যও ছিল।” স্বাভাবিকভাবেই সোহিনী-সপ্তর্ষির সঙ্গে যে ভালোই খাপ খাইয়ে নেবে বাবু, তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না।

Sohini Sengupta Saptarshi Maulick, babu

চিড়িয়াখানার পশুদের দত্তক নেওয়ার চল রয়েছে ২০১৫ থেকে। বাবুকে দত্তক নেওয়ার প্রসঙ্গে সোহিনীর পরিষ্কার উত্তর, “পশুরাও আমার পরিবারের একটা অংশ। বাবুকে দত্তক নিয়ে ফেরার রাতেই পাড়ার একটা কুকুরের দুর্ঘটনা দেখলাম। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে ক্লিনিকে গেলাম। এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়।” যদিও নাট্যব্যক্তিত্ব সপ্তর্ষির মতে, “প্রকৃতি আর বন্যপ্রাণ নষ্ট করার যে ফল ভুগতে হচ্ছে সমগ্র মানবসভ্যতাকে, তা থেকে আমার মনে হয়েছে পশু সংরক্ষণ খুব প্রয়োজনীয়।” সপ্তর্ষি ও সোহিনীর মতে, মানুষের থেকেও পশুদের ওপর আমাদের দায়বদ্ধতা বেশি। পাশাপাশি সপ্তর্ষি এও জানান যে বাবু নাকি সপ্তর্ষির থেকে প্রায় ৩ বছরের বড়!

সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সপ্তর্ষির সাফ কথা, “সোহিনীর পশুপ্রেম থাকলেও আইডিয়াটা কিন্তু আমার। আসলে পশুপাখিদের খাঁচায় বন্দি দেখলে আমার খারাপ লাগত, তাই কোনোদিনই চিড়িয়াখানার যেতাম না। কিছুদিন আগে একটা ছুটিতে আমি আর সোহিনী চিড়িয়াখানায় গিয়ে জানতে পারি, অনেক পশু চিড়িয়াখানাতেই জন্মেছে, আবার অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে চোরাশিকারিদের কবল থেকে।” সূত্রের মতে, সব জেনেই নাকি সপ্তর্ষির চিড়িয়াখানা সম্পর্কে ধারণা বদলায়। পাশাপাশি সোহিনী জানান, “জঙ্গলের নিরাপত্তা এখন প্রশ্নের মুখে। চোরাশিকারিদের উৎপাত ছাড়াও দাবানলের ভয় থাকে। এখন তো দেখছি চিড়িয়াখানার পরিবেশ অনেক ভাল হয়েছে। ছোটবেলায় পশুদের দিকে পয়সা, খাবার ছুড়ে দেওয়ার প্রথা দেখতাম দর্শকদের মধ্যে। আমার খুবই কষ্ট হত। যদিও সেই অভ্যাস কমেছে এবং এর সম্পূর্ন ক্রেডিট কর্তৃপক্ষের।”

design-and-ux/mobile-first Created with Sketch. Join Us ➥