ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সহ তামাম ডিজিট্যাল দুনিয়ায় নজরদারির কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। এমনকী বসতে চলেছে বিশেষ সেল। এমনকী সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা।
এমনকী অনেকেই দাবি করছেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সমস্ত ব্যক্তিকেই সরকারি পরিচয় পত্র মারফত তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পুনরায় ভেরিফিকেশন করতে হবে। এমনকী সম্প্রতি এই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট করতে দেখা যায় দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত প্যাটেলকে। সেখানে তিনি স্পষ্টতই লেখেন আগামী তিন মাসের মধ্যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সরকারি পরিচয় পত্র ও নথির দ্বারা পুনরায় যাচাই করিয়ে নিতে হবে।
নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার, অপরাধ দমনে সরকারের এই পদক্ষেপ বিশেষভাবে কাজে আসবে বলেও জানান আইনজীবী প্রশান্ত প্যাটেলক। এমনকী এই ক্ষেত্রে সরকার ইন্টারনেট ইউজারদের অধিকার রক্ষার জন্য মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকা এবং ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড বিধি, ২০২০ ঘোষণা করতে চলেছে বলেও দাবি করেন তিনি। মূহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই পোস্ট।
যদিও সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পর দেখা যায় এই ধরণের কোনও নির্দেশিকাই সরকারে তরফে বার করা হয়নি। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের খবরটিও সম্পূর্ণ ভাবে ভুয়ো। কোনও নাগরিককেই তার অ্যাকাউন্ট এই ভাবে ভেরিফাই করা প্রয়োজন নেই। তা স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছেন এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। এমনকী একই কথা শোনা গিয়েছে কেন্দ্রী মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের গলাতেও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউজারদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থেই সরকার শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির জন্য কিছু অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের কিছু নিয়ম পাঠিয়েছে। কোনও ব্যবহারকারী যদি স্বেচ্ছায় তাদের অ্যাকাউন্ট যাচাই করতে চান তাদের অ্যাকাউন্টগুলি যাচাই করার জন্য একটি উপযুক্ত পদ্ধতি সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে। তবে ব্যবহারকারীদের জন্য এই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক নয়।