উত্তরবঙ্গের বুনিয়াদপুরের ছেলে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক (Snigdhajit Bhowmik) আজ সারেগামাপা (Sa Re Ga Ma Pa) এর দৌলতে বেশ জনপ্রিয়। টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় গানের রিয়্যালিটি শো সারেগামাপা। যেখানে বিচারক হিসাবে রয়েছেন বিশাল দাদলানি, হিমেশ রেশমিয়া ও শঙ্কর মহাদেবন এর মত ব্যক্তিত্বরা। সেই মঞ্চেই নিজের গানের গলা দিয়ে বিচারক ও দর্শকদের মুগ্ধ করেছে স্নিগ্ধজিৎ।
সম্প্রতি রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে মায়েদের জন্য এক বিশেষ পর্বের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে মায়েদের কথা মনে করেছে প্রতিযোগীরা, সাথে মায়েদের উদ্দেশ্যেই গেয়েছে গান। এদিন নিজে মাকে গান উৎসর্গ করেছে স্নিগ্ধজিৎ। সাথে ভাগ করে নিয়েছে নিজের ছোট থেকে বড় হওয়ার কাহিনী। কতটা সংগ্রামের সাথে স্নিগ্ধজিৎকে বড় করে তুলেছে তাঁর মা।
বিশেষ এই পর্বের দিন সশরীরে ছেলেকে দেখতে হাজির হতে পারেননি মা। কারণ গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন তিনি। চলছে অক্সিজেন সাপোর্ট। মায়ের সাথে বাড়িতেই আছেন স্নিগ্ধজিতের স্ত্রী। তাই ভিডিও কলের মাধ্যমেই এদিন ছেলের গান দেখলেন মা। তবে গান শুরুর আগে নিজের কাহিনী সকলের সাথে শেয়ার করেছে স্নিগ্ধজিৎ, যা সকলের চোখে জল এনে দিয়েছে।
স্নিগ্ধজিৎ জানান, তাঁর বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তাই মা যখন গর্ভবতী ছিলেন তাকে প্রতিবেশীরা বলেছিল গর্ভপাত করিয়ে নিতে। কারণ সমাজের লোকের ধারণা পাগল বাবার সন্ধান পাগল হয়েই জন্মাবে। সমাজের এই সমস্ত কটূ কথা শোনেননি মা। ১০ মাস গর্ভে ধারণ করে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিলেন ছেলেকে। স্নিগ্ধজিতের মতে, এর চেয়ে বড় বিষয় আর কি হতে পারে!
স্নিগ্ধজিতের কাহিনী শুনে উপস্থিত বিচারক থেকে শুরু করে বাকি প্রতিযোগীদের মায়েদের চোখও ভিজে গিয়েছে। বিশেষ এই পর্বের কিছুটা সোশ্যাল মিডিয়াতে জি টিভির অফিসিয়াল পেজে শেয়ার করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই বেশ ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এমনিতেই সংগীতের এই প্রতিযোগিতার দৌলতে বেশ চর্চায় উঠে এসেছে স্নিগ্ধজিতের নাম। অনেকেই মনে করেন নিজের দারিদ্রতাকেই নাকি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেন তিনি! তবে গানের গলা দিয়ে প্রতিবারই নিন্দুকদের করা জবাব দিয়েছেন স্নিগ্ধজিৎ।