সাত আটের দশকে বলিউডের অন্যতম দাপুটে অভিনেত্রী ছিলেন স্মিতা পাতিল (Smita patil) । ক্ষুদ্র কেরিয়ার জীবনে বলিউডে দুর্দান্ত কিছু ছবি উপহার দিয়েছিলেন তিনি, পাশাপাশি মারাঠি বহু ছবিতেও নিজের অভিনয়ের দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন স্মিতা।চোখের জাদুতেই বহু পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন শ্যামবর্ণা নায়িকা স্মিতা পাতিল। ব্যতিক্রমী অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অভিনেত্রীর জন্মও পুনের এক মারাঠা পরিবারে।১৯৫৫ সালে ১৭ অক্টোবর জন্ম হয় স্মিতা পাতিলের, কিন্তু মাত্র ৩১ বছর বয়সেই এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন তিনি। আজ জানাব তারই সেই করুণ কাহিনির কথা।
স্মিতা কেরিয়ার শুরু করেন দুরদর্শনের একজন সংবাদ পাঠিকা হিসেবে, ওভাবেই প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসেন তিনি। টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপিকা হিসেবে তাকে দেখেই চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগালের নজরে পড়েন স্মিতা। এরপরেই শুরু হয় তাঁর অভিনয়ের যাত্রা। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত “চরণ দাস চোর” ছবি দিয়েই বলিউডে অভিষেক তার।
এরপর একে একে মন্থন, আক্রোশ, চিদাম্বরম, মির্চ মশলা-র মতো দুর্দান্ত কিছু ছবি উপহার দেন তিনি। মাত্র তিন দশকের জীবনে সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেনের মতো পরিচালকদের ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ খুশি ছিলেন তিনি। বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা রাজ বব্বরকে৷ কিছুদিন সংসার করার পর, সন্তান জন্ম দিতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।
পুত্র সন্তান প্রতীক বব্বরকে জন্ম দেওয়ার সময় নানান জটিলতায় প্রাণ যায় স্মিতার৷ জন্মের পরেই মা হারা হন প্রতীক। মায়ের ভালোবাসা কাকে বলে কোনোওদিন বোঝেননি তিনি। সম্প্রতি মায়ের ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি ছবি শেয়ার করে আবেগপূর্ণ পোস্ট করেন প্রতীক। মায়ের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠিতে তিনি লেখেন,”আজ থেকে ৩৪ বছর আগে মা আমাকে ছেড়ে চলে যান চিরতরে। তারপর থেকে শুধুমাত্র আমার কল্পনা এবং আমার হৃদয় জুড়ে রয়েছে মায়ের একটি চিত্র”।
তিনি আরও লেখেন, আজ আমি যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি তার সম্পূর্ণটাই মায়ের কৃতিত্ব। আমিই মাকে চিরতরে বাঁচিয়ে রাখব, আমার মধ্যেই বেঁচে থাকবেন তিনি৷ প্রতীকের এই লেখায় চোখ ভিজেছে নেটিজেনদের।
View this post on Instagram