‘বুর্জ খলিফা (burj khalifa)’ নামটা সম্পর্কে কমবেশ প্রায় সকলেই পরিচিত। মানুষের তৈরী পৃথিবীর সবচাইতে উঁচু বিল্ডিং হল বুর্জ খলিফা। দুবাইয়ের এই বিশাল স্থাপত্য সকলে না চিনলেও এবছরের দুর্গাপুজোর দৌলতে চিনে গেছে। বুঝলেন না? আসলে এবছরে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজোর থিম ছিল ‘বুর্জ খলিফা’। কিন্তু পুজো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবে চিন্তা নেই, এবার কলকাতায় আবার দেখা মিলেছে বুর্জ খলিফার।
কলকাতায় আবারো বুর্জ খলিফা, তাও আবার মাত্র ৫০ টাকায়! প্রথমে শুনে চমকে গেলেও ব্যাপারটা বেশ মিষ্টি। আরে হ্যাঁ মিষ্টির কথাই বলছি। আসল ব্যাপারটা হল সিদ্ধির মোড়ের এক মিষ্টির দোকানে বিক্রি হচ্ছে অভিনব ‘বুর্জ খলিফা’ মিষ্টি। যার দাম মাত্র ৫০ টাকা, আর সেই মিষ্টি খেতেই ভিড় জমছে মিষ্টিপ্রেমীদের।
এখন নিশ্চই জানতে ইচ্ছা করছে সেই মিষ্টির দোকানের নাম। তাহলে বলে সিঁথির মোড়ের ‘মহুয়া’ নামের মিষ্টির দোকানেই বিক্রি হচ্ছে এই মিষ্টি। যা কিন্তু সর্বদায় লোকের ভিড় লেগে রয়েছে। অভিনব এই মিষ্টি আবার শীতের সেরা নলেন গুড়ের পাক দিয়ে তৈরী। যে কারণে আরও বেশি করে মনে ধরেছে বাঙালির।
মিষ্টির দোকানের মালিক দিলীপকুমার পাইন এই ‘বুর্জ খলিফা’ মিষ্টি তৈরি করেছেন। যা এখন স্থানীয় লোকের মুখে মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য এই প্রথমবার না, এর আগেও মিষ্টি নিয়ে বেশ ওকয়েকবার এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি। এবছর দুর্গাপুজোয় বুর্জ খলিফা প্যান্ডেলের কথা শুনেই এই মিষ্টি তৈরির পরিকল্পনা মাথায় আসে। তখনই ঠিক করেন এই মিষ্টি বানিয়ে ফেলবেন।
যেমন ভাবনা তেমনি কাজ, প্রথমে শুরু হয় কিছু রিসার্চ। কেমন দেখতে বুর্জ খলিফা, কিভাবে তৈরী হবে। এরপর ডিজাইন দেখার পর তৈরী করা হয় ছাঁচ। ছাঁচে ফেলে নলেনগুড়ের সন্দেশ দিয়েই তৈরী হচ্ছে এই ‘বুর্জ খলিফা সন্দেশ’। তবে মিষ্টি আরও কিছুটা লম্বা করার ইচ্ছা ছিল বলে জানান দিলীপবাবু। সে যাই হোক অভিনব এই মিষ্টি দোকানে আসতেই দেবার বিকোচ্ছে।