সশরীরে তিলোত্তমা কলকাতায় শো করতে এসেছিলেন কেকে। কিন্তু যেভাবে এসেছিলেন সেভাবে আর ফিরতে পারলেন কই? কাল যখন নজরুল মঞ্চে শো মাতাচ্ছেন জনপ্রিয় বলিউডি গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে, তার সামনে সারি সারি শ্রোতা তার সাথে গলায় গলা মেলাচ্ছিলেন৷ তখনও কেউ এক বিন্দু বুঝতে পারেননি এখান থেকে আর হাসতে হাসতে ফিরতে পারবেন না গায়ক। তার গলায় একের পর এক ভুবন ভোলানো গানে তখন ভেসে চলেছে উত্তেজিত জনতা। ভিড় থিক থিক করছে গোটা অডিটোরিয়াম জুড়েই, অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করেন কেকে। জানিয়েওছিলেন তিনি, কিন্তু যখন সকলে নড়েচড়ে বসে ততক্ষণে কাজ প্রায় শেষ।
মঙ্গলবার রাত্রেই কেকের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে কার্যত শোকে পাথর হয়ে রয়েছে গোটা দেশ। আবাক কান্ড, সুদূর মুম্বই থেকে কলকাতা এসেই চির নিদ্রায় গেলেন কেকে। এদিন বাংলার রবীন্দ্র সদন থেকে শুরু হল মুম্বইয়ের গায়ক কেকের অন্তিম যাত্রা৷ ঘুমিয়ে রয়েছেন কেকে, আর নেপথ্যে বাজছে তারই গাওয়া ‘হাম, রহেঁ ইয়া না রহেঁ কাল’।
সদন থেকে সামান্য দূরে এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর কাঠের কফিনে বন্দী হয়ে রবীন্দ্র সদনে পৌঁছেছিল গায়কের মরদেহ। আগেই, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন বাংলার অন্যান্য শিল্পীদের মতোই রবীন্দ্র সদনে শায়িত থাকবেন কেকে। গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে তাঁকে। বাঁকুড়া থেকে সমস্ত কাজ ফেলে শেষে সদন পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী।
আজ শেষ যাত্রায় কলকাতার আকাশেই তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সশব্দে ছুটলো গুলি। কাঠের কফিনে বন্দী কেকে। রবীন্দ্র সদন চত্ত্বরে গায়কের ছবিতে জড়ো হল একের পর এক সাদা মালা, চারিদিন বিষণ্ণতায় মুড়ে রয়েছে, নাকে আসছে ধূপের গন্ধ। আর সব ছেড়ে কেকের কফিন রওনা দিন কেকের কফিন, তখনও গান বাজছে, ‘কাল ইয়্যাদ আয়েঙ্গে ইয়ে পাল’।