এখনকার চারপাশের দূষণ আর অস্বাস্থ্যকর খাবারের জেরে রোজকার দৈনন্দিন জীবনে বেড়েই চলেছে হাজার রকম সমস্যা। এখন অবস্থাটাই এমন যে মানুষের সুস্থ থাকাটাই একটা বড় ব্যাপার। প্রায় প্রত্যেক মাসেই শরীর স্বাস্থ্যের নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছেন কমবেশি সকলেই।
এরই মাঝে অনেকের বাড়তি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় অকালে চুল ঝরে পড়ার মতো মত উটকো ঝামেলা। বাজার চলতি হরেক রকম তেল-শ্যাম্পু ব্যবহার করেও উপকার মিলছে না কিছুতেই। তবে এই চুলপড়া বন্ধ করার জন্য রয়েছে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা। যা মেনে চললে এক মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে চুল পড়া।
শ্যাম্পু : চুল ধোয়ার জন্য সব সময় মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা প্রয়োজন। এই ধরনের শ্যাম্পু চুলের জন্য তো খুবই উপকারী সেই সাথে চুলে খুশকি কিংবা চুল ঝরে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
তেল: চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এবং চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য মাথার স্কাল্পে নিয়মিত তেল মালিশ করা প্রয়োজন।
ভেজা চুল: অনেককেই দেখা যায় ভেজা চুলেই মাথার চুল আঁচড়ান। যেটা কখনোই উচিত নয়। আসলে চুল ভেজা থাকলে চুলের গোড়া অনেক আলগা থাকে। তাই এই সময় চুল আঁচলে ভিজে মাথায় চুল আঁচড়ালে খুব তাড়াতাড়ি চুল উঠতে শুরু করে।
চুল ধোয়া: শ্যাম্পু করার পর চুল খুব ভালো করে ধোয়া প্রয়োজন। চুল ভালো করে না ধুলেও চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। তাই যখনই শ্যাম্পু করা হবে তখনই চুলটা খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
দই: চুল পড়ার সমস্যা দূর করার জন্য চুলে দই লাগানো খুবই উপকারী। এতে চুল যেমন মজবুত হয় তেমনি চুল নরম এবং উজ্জ্বল হয়।
পুষ্টিকর খাবার: চুল পড়ার পেছনে রয়েছে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তা হলো শরীরে থাকা প্রোটিন, আয়রন এবং জিংকের পরিমাণ। তাই সবসময় নিজের খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা উচিত। যার মধ্যে প্রোটিন, আয়রন এবং জিংকের মত খাদ্যগুণ থাকা প্রয়োজন।
পেঁয়াজের রস: চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করার জন্য পিঁয়াজের রস খুবই উপকারী। পেঁয়াজের রস মাথায় স্কাল্পে মালিশ করলে করে কিছুক্ষণ পরে চুল ধরে নিয়ে নিতে হবে। এই টোটকা ব্যবহার করলে অনেক উপকার হয়।
জল খাওয়া: চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন।
শরীরে জলের পর্যাপ্ত যোগান পেলেই চুল অনেক নরম এবং মজবুত হয়।