বাংলার সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে এই মুহূর্তে বাংলার অন্যতম সেরা সিরিয়াল ‘মিঠাই’ (Mithai)। দর্শকমহলে এই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। প্রতি সপ্তাহের টিআরপি স্কোর তো আছেই সেই সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় চোখ রাখলেই বোঝা যায় এই সিরিয়ালটি দর্শকদের মনের কতটা কাছের।
আসলে বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে মিলেমিশে রয়েছে একান্নবর্তী বাঙালি পরিবারে মাধুর্য। এই সিরিয়ালের মধ্যে দিয়ে দর্শকরা আরো একবার খুঁজে পেয়েছেন পুরনো সেই যৌথ বাঙালি পরিবারের আন্তরিকতার ছোঁয়া। এক ছাদের তলায় মিলেমিশে সকলের থাকার মধ্যে যে এক আলাদাই তৃপ্তি রয়েছে এই সিরিয়ালের মধ্যে দিয়েই আরও একবার তা অনুভব করতে পারেন দর্শকরা। তাই মিঠাইরানীর মোদক পরিবারকে বড্ড ভালোবাসেন সিরিয়াল প্রেমী দর্শকরাও।

এই সিরিয়ালে যারা নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই জানেন ধারাবাহিকের শুরু থেকেই খলনায়িকা হিসেবেই দেখা গিয়েছে তোর্সাকে। সারাক্ষণ মিঠাইয়ের সাথেই তার খুঁটিনাটি ঝগড়া লেগেই থাকে। এমনকি সকলের সামনে মিঠাইকে অপদস্থ করার কোন সুযোগই হাতছাড়া করে না সে। আর তোর্সা যখনই মিঠাইকে অপমান করে তখনই তার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় তার উচ্ছেবাবু সিদ্ধার্থ।
সম্প্রতি মিঠাইয়ের লক্ষ্মী পুজো স্পেশাল পর্ব দেখানো হয়েছে টিভিতে। এই পর্বে দেখা গিয়েছে আধুনিক পোশাক ছেড়ে একেবারে সাবেকি বাঙালি বউ-এর সাজে ধরা দিয়েছে বৌদিমণি তোর্সা (Torsha)।তার পরনে লাল পার সাদা শাড়ি আর সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না। তোর্সার এমন সাজ দেখে হল্লা পার্টির সকল সদস্য তো বটেই এমনকি বাড়ি সবথেকে বড় সদস্য দাদাই এবং সিদ্ধার্থও একেবারে হাঁ হয়ে গিয়েছে।
এরপরেই দেখা যায় ঠাকুর ঘরে গিয়ে লক্ষ্মীপুজোর পাঁচালী পড়তে চায় তোর্সা। গতকালের সেই পর্বে দেখা গেছে তোর্সার পাঁচালী পড়া শুনে ভীষণভাবে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন বাড়ির সদস্যরা। তখনই ঠাকুর ঘরে গিয়ে তোর্সাকে সাথে দু চার কথা শুনিয়ে দিয়ে আসে সিদ্ধার্থ।
তোর্সার প্রতি সিদ্ধার্থের এই আচরণ দেখে বেশ বিরক্ত হয়েছেন দর্শকদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে তারা বলেছেন সিদ্ধার্থ সব সময় মিঠাইয়ের সামনে তোর্সার সাথে খোঁচা মেরেই কথা বলে। তোর্সার প্রতি সিদ্ধার্থের এই ব্যবহার তারা একেবারেই পছন্দ করছেন না বলে জানিয়েছেন নেটিজেন্দের একাংশ।