মিঠাই (Mithai) সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে আলাদা করে বলার কিছুই নেই। বিগত দুমাস ধরে ব্যাক টু ব্যাক টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে আসছে মিঠাই। বর্তমানে সিরিয়ালের একত্রে ডাবল টুইস্ট চলছে। একদিনে মিঠাইয়ের ডিভোর্সের কিছুটা দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। কিন্তু মিঠাইকে ডিভোর্স দিতে ঠিক মন মঞ্চে না সিদ্ধার্থের। অন্যদিকে রাতুল ও শ্রীতমার বৈবাহিক সম্পর্ক কেমন যেন জটিল হয়ে যাচ্ছে। খানিকটা মিঠাইয়ের মতোই অবস্থা হয়েছে সিদ্ধার্থের বোন শ্রীতমার।
সিরিয়ালের প্রথম দিন থেকেই সিদ্ধার্থ অর্থাৎ উচ্ছেবাবুকে ভেঙচি কেটে আসছে মিঠাই রানী। সিদ্ধার্থের অনুপস্থিতিতে বাড়ির সকলকে তার নকল করে দেখাতো মিঠাই। এই করতে গিয়ে অবশ্য কমবার ধরা পড়েনি সে। ধরা পরে বকাও খেয়েছে বেশ। কিন্তু তাতে কি! মিঠাই আছে মিঠাইতেই, দিব্যি সুযোগ পেলেই দাদুর রাগী নাতিকে ভেঙচি কাটতে পিছপা হয়না সে।
এবারেও দাদুর কথামতো উচ্ছেবাবুকে নকল করে দেখিয়ে সকলকে হাসাচ্ছিল মিঠাই। দাদুকে খাওয়ার জন্য কীভাবে সিদ্ধার্থ বকেন সেটাও বাড়ির সকলের সামনে করে দেখাচ্ছিল মিঠাই, যথারীতি এবারেও এই কীর্তি করতে গিয়ে সিদ্ধার্থর কাছে ধরা পড়ে যায় মিঠাই। তবে এবারে আর মিঠাইকে বকাবকি করল না, বরং মিঠাইয়ের ও কথা বলার স্টাইল এক্কেবারে ‘কোমরে’ হাত দিয়ে নকল করে দেখালো সিদ্ধার্থ।
আর তা দেখেই হেসে লুটোপুটি খেলেন বাড়ির সকলেই৷ সিডকে দাদু কাউকে নকল করে দেখাতে বলা মাত্রই, সিদ্ধার্থ বলে, “আমার এসব আড্ডা ইয়ার্কি ভালো লাগেনা দাদাই, নইলে আমিও দেখাতে পারি তোমাদের এই জিনিয়াস কীভাবে কথা বলে”। যদিও সিডের এই কথা শুনে রাতুল মিঠাইকে বলে, ” ইমপসিবল, তোমার ইউনিক স্টাইল কেউ দেখাতে পারবেনা”৷
কিন্তু সকলকে অবাক করে দেয় সিদ্ধার্থ। “কোমরে হাত দিয়ে কথা বলা মোটেও ইউনিক স্টাইল নয়”, বলে মিঠাইয়ের ‘হেলেপ’, ‘ননসেনস’ এর মতো উচ্চারণ গুলি নকল করে দেখালো সিড।প্রসঙ্গত, মিঠাই আর সিদ্ধার্থ যতদিন যাচ্ছে ততই যেন একেঅপরের কাছে আসছে। সিদ্ধার্থ মুখে না বললেও মিঠাই ও পরিবারের প্রতি ময় বেড়ে যাচ্ছে সিদ্ধার্থের। আর এটা দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলছে তোর্সা। সিদ্ধার্থকে ফোন করে মিঠাইকে সহ্য না করতে পাড়ার কথা যাচ্ছ তোর্সা। যদিও এতে সিদ্ধার্থে মনে মিঠাইয়ের জন্য আদতে চিন্তা বেড়েই যাচ্ছে।