পর্ণোগ্রাফিক কন্টেন্ট (Pornographic Content) বানানোর অভিযোগে সোমবার রাতেই বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির (Shilpa Shetty) স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে (Raj Kundra) গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বিটাউনে। ইতিমধ্যেই একের পর এক সামনে আসতে শুরু করেছে রাজ কুন্দ্রার করা নানান অশ্লীল মন্তব্য। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটসহ ,অন্যান্য একাধিক তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে মুম্বাই পুলিশের। সেই তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই পুলিশের দাবী পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো তৈরির কাজে মূল ষড়যন্ত্রকারী হলেন রাজ কুন্দ্রা।
তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা), ৩৪ ধারা, ২৯২ এবং ২৯৩ ধারা (অশ্লীল বিজ্ঞাপন এবং প্রদর্শনী), আইটি অ্যাক্ট ও Indecent Representation of Women (Prohibition) Act-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকেই রাজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শার্লিন চোপড়া, পুনম পাণ্ডে, সাগরিকার মতো একাধিক বলিউড অভিনেত্রীরা।
জানা গেছে এই পর্ন ব্যবসার জন্য রাজ নিজেই অভিনেত্রী বাছাই করতেন। তবে এক্ষেত্রে তেমন নির্দিষ্ট কোনো মাপকাঠি ছিল না রাজের, তাই অভিনয়ের জন্য অভিনেত্রী হতেই হবে এমন শর্ত ছিল না। পছন্দ হয়ে গেলে সরাসরি প্রস্তাব রাখা হতো অডিশন দেওয়ার জন্য। তবে রাজের কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার পর এবার নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মুম্বইয়ের বিজ্ঞাপন জগতের চেনামুখ শ্রুতি গেরা (Shruti Gera)।
রাজের কাছ থেকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শ্রুতিকেও। এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান ‘ওদের থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি, এই আমার সৌভাগ্য।’ জানা গেছে একসময় এক কাস্টিং নির্দেশকের ফোন এসেছিল শ্রুতির কাছে। তখন তাঁকে বলা হয়েছিল, ডিজিটাল দুনিয়ায় পা রাখছেন রাজ কুন্দ্রা। তাঁর সঙ্গেও আলাপ করিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই ফাঁদে পা দেননি শ্রুতি। রাজের গ্রেফতারির পর শ্রুতি বলেন, ‘আমরা সবাই জানতাম, রাজ কুন্দ্রার বিশাল নাম। কিন্তু দেখা গেল, তিনি পর্ন বানাতেন!’
সেইসাথে শ্রুতি আরও দাবি করে বলেন বলিউডে ‘জোর করে নেশা করিয়ে তাঁদের অজান্তেই আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে তার পর এই ধরনের পর্ন বা যৌন উদ্দীপক ছবিতে কাজ করানোর জন্য ব্ল্যাকমেল করা হয়। বলিউডে এটা খুবই সাধারণ ঘটনা। যত্রতত্র দেখা যায় এটা।’ সেইসাথে শ্রুতির আরও সংযোজন ‘কেবল মহিলা নয়, পুরুষদেরও এমন ভিডিয়োর জন্য জোর করা হয়। তাঁদের এমন পরিস্থিতির মুখে ফেলা হয়, যেখানে দাঁড়িয়ে আর কোনও পথ খোলা থাকে না।’