সামনেই মা কালীর পুজো। তার আগেই চারপাশ সেজে উঠছে আলোকসজ্জায়। তাই কালীপুজোর পুজোর আগে চারপাশেই রয়েছে সাজো সাজো রব। প্রত্যেক বছর কালীপুজো উপলক্ষে মা ভবতারিণীর দর্শনে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয় দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরে। আর এবার সেই ভবতারিনীরই একটি ছবি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী শ্রুতি দাস।
আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে মা ভবতারিণীর একটি ছবি। তবে সেই ছবিতে কোন মূর্তি নয় রয়েছেন জীবন্ত মা কালী। ছবির ক্যাপশন না পড়লে কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব নয় তা মূর্তি না নাকি জীবন্ত কালী।রাই তো ছবি দেখেই ইতিমধ্যে অনেকেই প্রণাম পর্যন্ত ঠুকে ফেলেছেন।আসলে ওই ছবিতে থাকা মা ভবতারিণীর (Bhabatarini) রূপে আর কেউ নয় রয়েছেন স্বয়ং টেলি অভিনেত্রীর শ্রুতি দাস। তবে শুধু মা ভবতারিণীই নন ছবিতে শুয়ে থাকা স্বয়ং মহাদেবও নাকি জীবন্ত।
নিজের হাতের জাদুতে দুর্দান্ত রূপসজ্জার মাধ্যমে এই অসাধ্য সাধন করেছেন মেকআপ আর্টিস্ট মুক্তি রায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সেই ছবি শেয়ার করে ট্যাগ করেছিলেন টিভি অভিনেত্রী (Tv Actress) শ্রুতি দাসকে (Shruti Das)। এই গোটা মেকাপের একটি বিটিএস ভিডিও-ও শেয়ার করে নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই শিল্পী জানিয়েছেন মায়ের এই রূপ ফুটিয়ে তোলার স্বপ্ন তার বহুদিনের। দীর্ঘ দুবছর ধরে পরিকল্পনার পর সম্প্রতি এই কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছেন তিনি। যার জন্য তিনি মনে করেন মা কালী না চাইলে বোধহয় তার পক্ষে এই কাজটা করা সম্ভব হতো না।
সবশেষে শ্রুতিদাহসহ তিনি তার টিমের সমস্ত সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুক্তি।প্রসঙ্গত এদিন ইনস্টাগ্রামে মা ভবতারিণীর এই বিশেষ রূপ তুলে ধরে শিল্পী লিখেছিলেন ‘মা ভবতারিণী। বিশ্বজননী অনন্ত রুপিনী,সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়কারিণী। সেই সাথে তিনি জানিয়েছিলেন এটি কোন মূর্তি নয় মানুষের শরীরেই করা হয়েছে মায়ের রূপদান। মায়ের রূপসজ্জা করেছেন মেকআপ আর্টিস্ট মুক্তি রায়।এদিন তিনি শ্রুতির বন্ধ চোখের ওপরেই চক্ষুদান করেছেন।
View this post on Instagram
সেই সাথে তিনি জানিয়েছিলেন মা ভবতারিণীর রূপে এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী দাস কে। আর মহাদেব সেজে ছিলেন সুপ্রিয় চৌধুরী। কালীপুজোর আগেই এমন একটা ফটোশুটে অংশগ্রহণ করার পরে সংবাদমাধ্যমে শ্রুতি জানিয়েছেন কালীপুজোর জন্য এই ফটোশুট করে তিনি খুবই খুশি। সেই সাথে শ্রুতি জানিয়েছেন এর আগে মহালয়াতে তিনি তিনবার কালি সেজেছেন তবে সেই অভিজ্ঞতার সাথে এই অভিজ্ঞতার কোন মিল নেই।
এর পাশাপাশি শিল্পী মুক্তির রায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছে শ্রুতির গলায়। আসলে আগেরবার এই শিল্পী বড়মার মেকআপ করেছিলেন। সেটাও শুটিং করার কথা ছিল শ্রুতির। কিন্তু সময় নিয়ে সমস্যা হওয়ায় সেটা তিনি সে বছর করতে পারেননি। অভিনেত্রীর কথায় ‘ও মায়ের মুখের আদলে একটা মেয়ে খুঁজছিল যে নৃত্যশিল্পী হবে। ডান্সারদের অসীম ধৈর্য। সেই কারণেই ডান্সার খুজছিল আর সেই কারণেই আমাকে প্রস্তাব দেয়। শ্রুতি জানিয়েছেন এদিন শুটিং করতে সময় লেগেছেমোট ১১ ঘন্টা। আর ফটোশুট করতে সময় লেগেছে ২ঘন্টা।অর্থাৎ মেকআপ এবং ফটোশুট গোটা বিষয়টা সম্পন্ন হতে সময় লেগেছে মোট ১৩ ঘন্টা। ছবির কমেন্ট সেকশনে একবাক্যে সবাই শিকার করেছেন ক্যাপশন না পড়লে কেউই বুঝতে পারবে না ইটা ফটোশুট করা জীবন্ত মা ভবতারিণী। তাই অনেকেই নাকি কাপসিওন না পড়েই প্রণাম ঠুকছেন।