আজকাল বিশেষ করে বিনোদন জগতে সম্পর্ক ভাঙতেও যেমন সময় লাগে না গড়তেও তেমনি সময় লাগছে। এক সম্পর্কে থাকতে থাকতে আচমকাই জীবনে নতুন মনের মানুষের আগমনও ঘটে যায় প্রায়। আর তা থেকেই জন্ম নেয় ত্রিকোণ প্রেম। সম্পর্কে থাকাকালীন টলি পাড়ার লাভ বার্ডস হিসাবেই পরিচিত ছিলেন অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরী (Gaurav Roychowdhury) এবং অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য (Shreema Bhattacharya)।
কিন্তু গৌরব-শ্রীমার কাপলস গোল এখন অতীত। গত বছর পুজোর পর থেকেই শ্রীমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন গৌরব। সম্প্রতি বোন টিউমার অপারেশন করিয়ে বাড়ি ফিরেছেন গৌরব রায়চৌধুরি। গৌরবের অসুস্থতার খবর পেয়ে শ্রীমা নাকি, অনেকবার তাঁর খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গৌরবের তরফ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি। জানা যায়, সম্পর্কে থাকাকালীন শ্রীমা নিজের ব্যক্তিগত কিছু বিষয় লুকিয়ে গিয়েছিলেন গৌরবের কাছে। সেসব পরে জানতে পেরে তাঁর সাথে আর সম্পর্ক রাখতে চাননি গৌরব।
এবার নিজের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে ‘দিদি নং ওয়ান’ এর মঞ্চে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি তার জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলেই প্রথমেই অভিনেত্রীর উত্তর ছিল, “যে যাওয়ার সে যাবেই কাউকে জোর করে আটকে রাখা যায়না”। এমন কথা বলতেই গলা কেঁপে উঠল অভিনেত্রীর। আর ওমনি রচনা তাকে সাহস জুগিয়ে বললেন, অসংখ্য মানুষ আছেন তাকে ভালোবাসার একজন ভালো না বাসলে কীই বা যায় আসে?
তবে বিচ্ছেদের অনেক দিন কেটে গিয়েছে বলেও জানান শ্রীমা, পাশাপাশি এখন তিনি অনেকটাই সামলে উঠেছেন। নিজের লুক চেঞ্জ করেছেন সদ্যই অর্থাৎ কীভাবে নিজেকে ভালো রাখতে হয় তিনি ভালোই জানেন। আর মেয়েকে ভালো থাকতে দেখে এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ করছেন শ্রীমার মাও।
এদিকে অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর থেকেই একাই ছিলেন শ্রীমা। কিন্তু শোনা যাচ্ছে সায়ন্তর জীবন থেকে দেবচন্দ্রিমা চলে যেতেই তাঁর জীবনে আবির্ভাব ঘটেছে একসময়ের সহ অভিনেত্রী শ্রীমার। উল্লেখ্য ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ সিরিয়ালে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সায়ন্ত এবং শ্রীমা। আর এখন তাঁদের নতুন সম্পর্কের জেরে ভাঙন ধরেছে সায়ন্তর দেবচন্দ্রিমার প্রেমে।
আর গুঞ্জনে কার্যত ঘৃতাহুতির কাজ করেছে সায়ন্ত এবং দেবচন্দ্রিমার ইউটিউব চ্যানেল। সেখানে কিছুদিন ধরেই দেবচন্দ্রিমার দেখা না মিললেও সদ্য শ্রীমার সঙ্গে একটি ভিডিও করতে দেখা গিয়েছে সায়ন্তকে। তবে সমস্ত গুঞ্জন উড়িয়ে শ্রীমা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সায়ন্ত তাঁকে মা বলে ডাকে। তাই সায়ন্তর সঙ্গে তাঁর কার্যত মা ছেলের সম্পর্ক।