বিবারের সকাল থেকেই ভারত তথা গোটা বিশ্বের সঙ্গীত জগতে তৈরি হয়েছে এক বিরাট শূন্যতা। দেবী সরস্বতীর বিসর্জনের দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সুরের সরস্বতী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। ভারতরত্ন প্রাপ্ত এই কিংবদন্তি বর্ষীয়ান শিল্পীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা সঙ্গীত জগৎ। ভারতীয় নাইটেঙ্গেলের প্রয়াণে সুরের জগতে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, তা এককথায় অপূরণীয়।
বলা হয় একমাত্র গানই পারে সীমান্তের বেড়াজাল টপকে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে ফেলতে। লতাজিও পেরেছিলেন। তাই দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে পাকিস্তানেও শোকাহত লতাজির অসংখ্য ভক্ত । তাদের মধ্যে যেমন রয়েছেন সাধারণ মানুষ তেমনই রয়েছেন একাধিক ক্রিকেটার, এবং মন্ত্রীরাও। এমনকি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ভারতের সুরসাম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোক বার্তা পাঠিয়েছেন।
তেমনই প্রিয় সঙ্গীত শিল্পীর প্রয়াণে এদিন স্মৃতির সরণিতে হেঁটে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন স্বয়ং পাকিস্তানের রয়্যালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলে পরিচিত শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar)। এদিন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর টেলিফোনে কথোপকথনের পুরনো স্মৃতির কথা প্রকাশ্যে আনলেন শোয়েব আখতার।
এদিন শোকস্তব্ধ স্পিডস্টার জানালেন ২০১৬ সালে তিনি শেষ বার ভারতে কমেন্ট্রি করতে এসেছিলেন। সেসময় প্রোডাকশনের একজনের সাহায্য নিয়ে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল তার। সেসময় সুর সম্রাজ্ঞীর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। সেই মধুর স্মৃতির ঝাঁপি খুলে এদিন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার জানান কথোপকথনের শুরুতেই লতা তাঁকে মা বলে ডাকতে বলেছিলেন। শোয়েব জানান, লতাজি তাঁকে বলেছিলেন তিনি নাকি সচিন বনাম শোয়েবের লড়াই খুব বেশি উপভোগ করতেন।
আবেগ প্রবণ শোয়েব তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলছেন, ‘আমাকে তিনি মা বলে ডাকতে বলেছিলেন। তাঁর সুন্দর ব্যবহারে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ওঁর সঙ্গে সামনে গিয়ে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম। সেই সময়ে নবরাত্রি চলছিল। উনি আমাকে দু’দিন পর তাই ওঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানে ফেরার টিকিট থাকায় আমাকে ফিরতে হয়েছিল। তবে বলেছিলাম পরের বার আসলে নিশ্চয়ই দেখা করব। কিন্তু আফসোস আর দেখা হয়নি। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় আর ভারতে আসা হয়নি আমার। দেখা হয়নি ওঁর সঙ্গেও। এটা আমার জীবনের বড় আফসোস।’