দেখতে দেখতে ৩ মাস হয়ে গেল সকলকে কাঁদিয়ে বিদায় নিয়েছেন টলিউডের (Tollywood) নামী অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। সবাই আস্তে আস্তে নিজেদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেলেও পারেননি তাঁর কাছের মানুষরা। ঠিক যেমন ঐন্দ্রিলার মা শিখাদেবী (Shikha Sharma) এখনও পুরনো স্মৃতির মধ্যেই মেয়েকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। প্রেমদিবস (Valentine’s Day) উপলক্ষ্যে যখন রাজপথ থেকে শুরু করে অলিগলিতে ভিট করেছেন যুগলরা, তখন পুরনো স্মৃতিতেই ঐন্দ্রিলাকে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
প্রেমদিবসের দিনে স্বাভাবিকভাবেই শিখাদেবীর মনে পড়ে যাচ্ছে তাঁর ঐন্দ্রিলা ও সব্যর (Sabyasachi Chowdhury) সেই প্রেমকাহিনীর কথা। এই তো গত বছর একসঙ্গে ঘুরে এলেন তাঁরা। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই বদলে গেল সবকিছু। চিরবিদায় নিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। এই বছর প্রেমদিবসে তাই সব্যসাচীও একা। কিন্তু তাই বলে প্রেমদিবস উদযাপন করবেন না তা কি হয়?
পুরনো ছবি শেয়ার করে যেমন শিখাদেবী লিখেছেন, ‘সবাইকে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সব্য আর ঐন্দ্রিলা এভাবেই তাঁদের ভ্যালেন্টাইনস ডে কাটাবে একান্তে’। ‘জিয়ন কাঠি’ অভিনেত্রীর মায়ের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পিছন দিক থেকে ঐন্দ্রিলার মাথায় দু’হাত রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সব্যসাচী।
গত বছর এই সময় বোলপুরে ছিলেন সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলা। সেই সুদিনের ছবিই আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন শিখাদেবী। অভিনেত্রীর মায়ের পোস্ট দেখে চোখ ভিজেছে নেটিজেনদেরও। তাঁদেরও মনে পড়ে যাচ্ছে, ঠিক এক বছর আগে এই দিনে কত আনন্দ ছিল দু’জনের। আর আজ সবকিছু কতটা বদলে গিয়েছে।
সেই সঙ্গেই অনেকের মনে পড়ছে, দু’বছর আগে এই সময় নাগাদই ঐন্দ্রিলার শরীরে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্যান্সার থাবা বসিয়েছিল। সেই লড়াইয়ে সর্বক্ষণ পাশে থেকেছিলেন সব্যসাচী। কর্কটরোগের বিরুদ্ধে সেই লড়াইয়ে জয়ী হয়ে ফিরেও এসেছিলেন ‘জিয়ন কাঠি’ নায়িকা। কিন্তু গত বছর শেষের দিকে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর আর শেষরক্ষা হয়নি।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বহুদিন লড়াই করার পর গত ২০ নভেম্বর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা। টিভি ৯ বাংলার কাছে মেয়ের ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করেন শিখাদেবী বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই ঐন্দ্রিলার জন্য স্কুল থেকে গার্ডিয়ান কল হতো। ও মারামারিও করেছে। কিন্তু স্কুলে ওঁকে ছারাকন কিছু সম্পূর্ণ হতো না। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে ছোটটা চ্যাম্পিয়ন ছিল। গান, নাচ, আবৃত্তি সব কিছুতে প্রথম’। আজ ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর সেই স্মৃতিগুলিকে আঁকড়েই বাঁচার সম্বল খুঁজছে তাঁর পরিবার।