সমস্ত নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে অবশেষে শেষ হাসি হেসেছেন শাহরুখ খান। অসংখ্য ঝড় ঝাপটার পর এদিন NCB বেকসুর ঘোষনা করেছে শাহরুখ পুত্রকে। ২রা অক্টবর ২০২১ তারিখটা যেন বিভীষিকার মত আরিয়ান খানের (Aryan Khan) কাছে। এই রাতেই মাদক কাণ্ডে ধরা পড়েন শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) ছেলে আরিয়ান। স্বাভাবিকভাবেই খবর প্রকাশ্যে আসতে সময় লাগেনি। এরপর ২৫ রাত জেলে কাটাতে হয়েছে আরিয়ানকে। গোটা ঘটনায় যে খান পরিবারের ভালো রকম মুখ পুড়েছিল তা বলাই বাহুল্য। ছেলেকে জেল থেকে ছাড়াতে কাল ঘাম ছুটে গিয়েছিল বলি বাদশার।
একগুচ্ছ শর্তের বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের। তবে জেল থেকে ছাড়া পেলেও তদন্ত জারি থাকে। সত্যিই কি মাদক নিয়েছিলেন আরিয়ান? মাদক পাচারের সাথে যুক্ত আছেন কি না? এই সমস্ত বিষয় খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছিল। ঘটনার দিন রাত্রে গোয়া গামী কার্ডেলিয়া শিপে হাই প্রোফাইল রেভ পার্টি চলছিল। সেই ক্রুজশিপ পার্টিতেই বেআইনিভাবে মাদক সেবনের অভিযোগ ওঠে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে। রাতারাতি এনসিবির হাতে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র।
এই মামলায় আরিয়ান সহ মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিলেন সমীর ওয়াঙখেড়ের নেতৃত্বাধীন NCB-র দল। প্রধান অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা। আরিয়ান জড়িয়ে পড়ায় একেরপর এক প্রশ্ন উঠেছিল মাদক মামলায়। প্রশ্ন উঠেছিল, শাহরুখের ছেলের কাছে ড্রাগস না-থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি গ্রেফতার হলেন ।
সম্প্রতি প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে আরিয়ান কোনোওভাবেই দোষী নন, কেননা তিনি কেবল গাঁজা সেবন করতেন তার কাছ থেকে কোনোও মাদকযাত দ্রব্য উদ্ধার হয়নি। এমনটা জানিয়েই আরিয়ানকে ক্লিনচিট দিয়েছে NCB। এমনকি শাহরুখ পুত্র কোনোও মিথ্যেও বলেননি, কারণ NCB এর কাছে দেওয়া বয়ানে আরিয়ান নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি গাঁজা সেবন করতেন৷ তিনি বলেছিলেন ২০১৮ সাল থেকেই তিনি গাঁজার প্রতি আসক্ত।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সকলের কাছেই পরিস্কার যে আরিয়ানাকে অপদস্ত করার পিছনে ষড়যন্ত্র ছিলোই। আরিয়ানকে যখন জেলে ঢোকানো হয় তখন বেশ কয়েকজন তারকা এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে অন্যতন শত্রুঘ্ন সিনহা। আরিয়ান নির্দোষ প্রমাণিত হতেই NCB কে একহাত নিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতা জানান, “প্রমাণিত হয়ে গেল আমি সেদিন ঠিক ছিলাম, আমি শুধু আরিয়ানকে না, শাহরুখকেও সমর্থন করেছিলাম। উনি শুধু ‘শাহরুখ খান’ হওয়ার মূল্য চোকাচ্ছিলেন।”