টলিউডের ছবির প্রতি দর্শকদের টান টা বহুদিনের। আর সেই আশি নব্বইয়ের দশক থেকে দর্শকদের মাতিয়ে আসছেন টলিউডের দুই নায়িকা। একজন দেবশ্রী রায় (Debashree Roy) আরেকজন শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। যদিও বয়সে দেবশ্রী বড় ছিলেন তবে অভিনয়ে কিন্তু দুজনেই ছিলেন একই কাঁটায়। জনপ্রিয়তার নিরিখে দুজনেই ছিলেন সেরা হবার দাবিদার। কিন্তু পর্দায় টেক্কা দিতে চাইলেও বাস্তবে সম্পর্ক ছিল কেমন? সেই কাহিনীই উঠে এল অভিনেত্রী শতাব্দীর কথায়।
দেবশ্রী রায় নিজের অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৬৬ সালে। হিরন্ময় সেনের ‘পাগল ঠাকুর’ ছবির মধ্যে দিয়ে। তারপর ১৯৭১ সালে তরুণ মজুমদারের ‘কুহেলী’ ছবিতে রাণুর চরিত্র দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলে তাকে। দেবশ্রী রায়ের বেশ কিছুটা সময় পরে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন শতাব্দী রায়। তাঁর প্রথম ছবি ছিল ১৯৮৬ সালের তপন সিংহর ছবি ‘আতঙ্ক’।
সমকালীন বড় অভিনেতা প্রসেনজিৎ থেকে তাপস পাল এদের সাথে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন দুজনেই। অভিনয়ের জগতে থাকার কারণে বহুবার একই সাথে হতে হয়েছে দুজনকে। এমনকি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে একই সাথে একটি ছবিতে। কিন্তু দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দেবশ্রী রায় সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করলেন শতাব্দী রায়।
শতাব্দীর মতে, দেবশ্রী আমার আগে থেকেই ইন্ডাস্টিতে নাম্বার ওয়ান নায়িকা ছিল। আমি আসার পর দ্বিমত তৈরী হয়। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। দেবশ্রীর তরফ থেকে কোনোদিন ঠিক মত ওয়েলকাম পাইনি। একত্রে একটাই ছবি করেছিলাম, ‘শ্রদ্ধাঞ্জলী’। প্রসেনজিৎ খুব ভালো ভাবে দুজনকে ম্যানেজ করে নিয়েছিলেন যাতে কোনোরকম সমস্যা না তৈরী হয় আমাদের মধ্যে।
তবে খারাপ সম্পর্ক এখন বদলে গিয়েছে ভালো সম্পর্কে। টলিউডে দীর্ঘদিন অভিনয়ের পর দুজনেই দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। এরপর গতবছর সিরিয়ালের মাধ্যমে কামব্যাক করেছেন দেবশ্রী রায়। অন্যদিকে শতাব্দী রায়ও দীর্ঘদিন পর ছবির জন্য অভিনয়ে ফিরছেন। অভিনেত্রী নিজেই জানান, ‘এখন আমাদের মধ্যেকার সম্পর্ক বেশ ভালো। দুজনেই দেখা হলে নিজেদের ভালোলাগা, খারাপ লাগা শেয়ার করি। যখন নিয়মিত কাজ হাত সেই সময়ে সম্পর্ক খারাপ ছিল’।