বলিউডের (Bollywood) জগতে শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Thakur) বেশ পরিচিত। আভিজাত্যময় ঠাকুর পরিবারের মেয়ে হওয়ায় অভিনয় জগতে আসতে তাকে অনেক বাধা পেতে হয়েছিল। তবে সব বাধা অতিক্রম করে ১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ রায় তার এক অনবদ্য চলচ্চিত্র “অপুর সংসার” এর মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্র জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের আবিষ্কার করেন। সেদিনের অপুর সংসারের আটপৌরে অপর্ণা (অপু) পরবর্তীকালে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে আলোড়ন ফেলেছিলেন। তার কর্মজীবনে তিনি অনেক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকবৃন্দকে।
একজন সফল অভিনেত্রী হিসাবে শার্মিলা ঠাকুর নিজের পেশাকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করতে পছন্দ করতেন। পারিবারিক বাধা অতিক্রম করে যখন শার্মিলা বিবাহ করবেন বলে স্থির করেন তখন তার পেশাদারিত্ব তার সামনে এমন এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় যার জন্য শর্মিলা ও মনসুর এর বিয়ে আর সম্ভবপর হবে কিনা তা নিয়ে অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তির মনে সংশয় দেখা দিয়েছিলো। শার্মিলা সুইমিং কস্টিউম এ একটি ফটোশুট করেন আর সেই ছবিগুলি প্রকাশ্যে আসতেই এমন গুঞ্জন উঠতে শুরু করে।
কিন্তু আবারো হার মানলেন না শার্মিলা। তিনি যে নিজের পেশাকে ভালোবেসে কাজটি করেছিলেন তা মনসুর আলী খান বুঝতে পারেন ও শর্মিলাকে সঙ্গে দেন। শর্মিলার এই কাজের কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়া তিনি মনসুরের পরিবারের তরফ থেকেও পাননি। মনসুর এর মা সাজিদা সুলতান বেশ আধুনিক মনোভাবসম্পন্ন ছিলেন এই দিক দিয়ে। ১৯৬৮ সালের ২৭ সে ডিসেম্বর শর্মিলা ঠাকুর স্বইচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তন করে মনসুর কে বিবাহ করে হয়ে ওঠেন বেগম আয়েশা সুলতানা খান।
শার্মিলা (বেগম আয়েশা সুলতানা খান) ও পাতৌদি পরিবারের যুবরাজ মনসুর আলী খান পতৌদির তিন সন্তান সাইফ আলী খান, সাবা আলী খান, ও সোহা আলী খান। শার্মিলা পতৌদি পরিবারের বৌ হওয়ার পর এখন একজন শ্রেষ্ট শ্বাশুড়িও বটে। সাইফ আলী খান এর স্ত্রী কারিনা কাপুর খান একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তার শ্বাশুড়িমাতা তাকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে।
“লেডিজ স্টাডি গ্রূপ” এর একটি সাক্ষাৎকারে শর্মিলা বলেন, কিছুদিন আগে তার একটি অস্ত্রোপচার হয় যার ফলে তাকে হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন থাকতে হয়। সেই সময় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সময় কাটাতে শর্মিলা বেশ কয়েবার “চুপকে চুপকে” সিনেমাটি দেখে ফেলেছেন। তিনি “চুপকে চুপকে” সিনেমাটি দেখে নতুন করে ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পরে গিয়েছেন তাই সেই কারণেই তিনি নাকি বেশ কয়েকবার সিনেমাটি দেখে ফেলেছেন হাসপাতালে থাকাকালীন।