বঙ্গ তনায়া তথা বলিউডের কাশ্মীর কি কালি শর্মিলা ঠাকুরের (Sharmila Tagore) প্রেমে পড়েছিলেন তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মানসুর আলী খান পতৌদি (Mansur Ali Khan Patoudi)। এভারগ্রীন এই সেলিব্রেটি জুটির লাভ স্টোরির কথা অজানা নয় কারও কাছেই। এমনিতে বলিউডের সাথে ক্রিকেটের সম্পর্ক বহু যুগ ধরে। যার সূত্রপাত সম্ভবত ঘটেছিল শর্মিলা ঠাকুর এবং মনসুর আলী খান পতৌদির হাত ধরে।
তবে পতৌদির সাথে আলাপ হওয়ার আগে খুব একটা ক্রিকেট দেখতেন না শর্মিলা ঠাকুর। অন্যদিকে এক সাক্ষাৎকারে পতৌদি জানিয়েছিলেন তিনিও নাকি আগে সেভাবে শর্মিলা ঠাকুরের সিনেমা দেখতেন না। তাঁদের প্রেমের কাহিনীর সূত্রপাত হয়েছিল ষাটের দশকে। সে সময় ১৯৬৫ সাল নাগাদ দিল্লিতে পতৌদির একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সেই ম্যাচেরই আফটার পার্টিতে এক বন্ধুর দৌলাতে দেখা হয় তাঁদের। প্রথম দেখাতেই নাকি একে অপরের প্রতি একরাশ মুগ্ধতা তৈরী হয়েছিল শর্মিলা আর পতৌদির। সেসময় চার্মিং মানসুর আলী খানের দুর্দান্ত ব্রিটিশ অ্যাকসেন্ট শুনেই নাকি ফিদা হয়ে গিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুরের। সেই সাথে তাঁর দুর্দান্ত রসবোধ মন জিতে নিয়েছিল অভিনেত্রীর।
ইতিপূর্বে একাধিক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা ঠাকুর জানিয়েছেন প্রেমিক হিসাবেও নাকি দুর্দান্ত ছিলেন পাতৌদি। তাই মাঝেমধ্যেই তাঁর প্রশংসায় লিখে ফেলতেন কবিতা। এছাড়াও তিনি উপহার আর প্রশংসায় ভরিয়ে দিতেন অভিনেত্রীকে। কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ১৯৬৮ সালে নাগাদ ধুমধাম করে রাজকীয় বিয়ে সারেন এই এভারগ্রিন জুটি। যদিও সেই সময় ভিন ধর্মের এই বিয়ে নিয়ে শুরু হয়েছিল ব্যাপক বিতর্ক।
যদিও সব বাধা তুচ্ছ করেই এই জুটি হেসে খেলেই কাটিয়েছেন তাঁদের দাম্পত্য জীবন। তবে বিয়ের পর এক বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় বিপত্তি। এমনিতে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে পরিবারে কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু বিপত্তিটা তৈরি হয়,পাতৌদির একটি ম্যাচ হেরে যাওয়ায়। এপ্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন ‘সে সময় কোন এক ম্যাচে ক্যাচ মিস করেছিলেন টাইগার। তা দেখে অভিনেত্রীর বাবা নাকি তার উপরেই দোষ দিয়ে বলেছিলেন ‘তুমি রাতে ওঁকে জাগিয়ে রাখো কেন?’ এরপরেই হেসে ফেলে অভিনেত্রী বলেন , ‘আমি ওই কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।’