• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

‘মরলে ভালো হত’, তৈমুরের জন্মের আগে বৌমা কারিনার মৃত্যু কামনা করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর

বলিউডের (Bollywood) দুই সম্ভ্রান্ত পরিবার হল কাপুর বংশ এবং পতৌদি বংশ। দুই পরিবারেই একাধিক নামকরা তারকা রয়েছেন। এই দুই পরিবার আবার আত্মীয়তার সূত্রেও আবদ্ধ। কাপুর পরিবারের মেয়ে করিনা (Kareena Kapoor) হলেন পতৌদি পরিবারের বেগম। ২০১২ সালে মনসুর আলি খান পতৌদি ও শর্মিলা ঠাকুরের (Sharmila Tagore) পুত্র তথা অভিনেতা সইফ আলি খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বেবো। এখন দুই সন্তানের মা-বাবা তাঁরা।

তবে সইফকে বিয়ে করার পর থেকেই করিনাকে নেটিজেনদের একাংশের থেকে প্রচুর খারাপ কথা শুনতে হয়েছে। প্রথমত, হিন্দু মেয়ে হয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন তিনি, তার ওপর সইফ আবার ছিলেন ডিভোর্সী! তবে অভিনেত্রীকে সবচেয়ে বেশি যে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল সন্তানদের নামকরণ নিয়ে। দুই ছেলের নাম ‘তৈমুর’ (Taimur Ali Khan) ও ‘জাহাঙ্গীর’ রেখে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছিলেন বেবো।

   

Kareena Kapoor Khan family, Kareena Kapoor Khan and Taimur Ali Khan

যদিও ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর তথা জেহর চেয়ে তৈমুরের সময় বেশি ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল করিনাকে। নেটিজেনদের একটি বিরাট অংশ দাবি করেছিল, স্বৈরাচারী রাজা তৈমুর লংয়ের নামে নাকি ছেলের নাম রেখেছেন সইফ-ঘরণী। তারকাজুটি সেই দাবি অস্বীকার করলেও নিন্দুকরা সেকথা মানতে চায়নি।

করিনার পাশাপাশি ছোট্ট তৈমুরকেও নিশানা করেছিলেন নেটাগরিকরা। কেউ কেউ এও বলেছিলেন, করিনার মৃত্যু হলেই ভালো হতো। তাহলে তৈমুর এই পৃথিবীতেই আসত না। সম্প্রতি এই বিতর্ক প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন করিনার শাশুড়ি তথা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা।

Kareena Kapoor and Sharmila Tagore, Sharmila Tagore and Taimur Ali Khan

সইফের মা’ও হিন্দু পরিবারের মেয়ে থেকে নবাব বংশের বৌ হয়েছেন। তবে শর্মিলার কথায়, তৈমুরের জন্মের পর যত বিতর্ক তিনি দেখেছেন, ততখানি বিতর্ক নিজের গোটা জীবনে দেখেননি। অনেকেই চেয়েছিলেন, করিনা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাহলে করিনারও মৃত্যু হতো এবং তৈমুরেরও জন্ম হতো না।

শর্মিলা বলেন, ‘আমি ভাবি এরা কি সত্যি সত্যি মানুষ? মানুষ এমন কথা কী করে মনে আনে? একদিনের সদ্যোজাত শিশুর ক্ষতি কী করে চায়?’ করিনার শাশুড়ির সংযোজন, ‘আমি নিজের জন্য ভয় পাইনি। শুধু ভাবছিলাম এটা কেমন দুনিয়া? এই মানুষগুলোই বা কারা? সমাজের প্রত্যেককে খুশি রাখা সম্ভব না, সেই জন্য নিজেকে ভালো রাখাটা সবচেয়ে জরুরি। যদি অন্যের প্রেসক্রিপশন মেনে চলা হয়, তাহলে নিজের জীবনের ফোকাস, ইচ্ছে সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে দিতে হয়’।