আজকাল বাংলা ধারাবাহিকের সুবাদে অনেক নতুন মুখই সুযোগ পায় টিভির পর্দায় আসার। সেরকমই ‘স্টারজলসা’ (Star Jalsha) এর ধারাবাহিক ‘খেলাঘর’ (Khela ghor)এর নায়িকা পূর্ণা। গত বছরের নভেম্বরে শুরু হয়ে মাত্র ৫ মাসেই দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল ধারাবাহিকের গল্প।
গল্পের নায়ক সান্টু সাধারণ নিম্ন বিত্ত পরিবারের ছেলে, স্বভাবে বদমেজাজি রাগী, কিন্তু মেধাবী। অর্থ না থাকলেও তার এবং তার পরিবারের যেটা রয়েছে সেটা হল আত্মসম্মান। অন্যদিকে পূর্ণা বড়লোক বাবার সুন্দরী মেয়ে। কিন্তু এই গল্পে শান্টু পূর্ণার প্রেমকাহিনী যেন সমাজের বাধাধরা আর্থ সামাজিক অবস্থার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার। সমাজ বদলের ডাক।
শ্রেণীবিভক্ত সমাজে এবার এক হয়ে গেল শান্টু এবং পূর্ণা। গল্পের শুরুতে পূর্ণার ভালো পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলেও, ভাগ্যের কারণে আগেই আচমকা শান্তুর সাথে বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু সেই আচমকা বিয়েই এবার রূপ পেল, পেল মর্যাদা।
বিয়ের পর বিশাল বড়লোক বাড়ির মেয়েকে এসে পড়তে হয় বস্তিতে। স্বামীকে ভালোবেসে সেই লড়াই লড়ে নেন পূর্ণা। রাজনীতির কুপ্রভাব, গুন্ডাগিরী থেকে শান্টুকে ভালো পথে ফেরানোর দায়িত্ব নেয় পূর্ণা।
খেলাঘর ধারাবাহিকের শান্টু ওরফে দিগ্বিজয় রায় পরিস্থিতির চাপে অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেও ভাগ্যচক্রে সে একজন চূড়ান্ত মেধাবী ছাত্র। সে ভালো হতে চাইলেও ‘গগন মাখাল’ অর্থাৎ ধারাবাহিকের খলনায়কের উস্কানিতে বারংবার শান্টুকে জড়িয়ে পড়তে হয় নানান অপরাধে।
View this post on Instagram
কিন্তু স্ত্রী হিসেবে শান্টুকে ভালো পথে ফেরানোই হল পূর্ণার একমাত্র চ্যালেঞ্জ। কিন্তু শান্টুর শ্বশুরমশাই তাকে জামাই হিসেবে মানতে প্রথম থেকেই নারাজ। তবু মেয়ের মুখের দিকে চেয়েই সবটা মেনে নেয় সে। এবার বিয়ের পর শান্টু শ্বশুরবাড়ি আসে দ্বিরাগমনে। কিন্তু তার জন্য শ্বশুরের নির্দেশে কোনো খাবারের আয়োজন করা হয়নি।
তাই শান্টু অবশেষে ঠিক করে সে নিজেই রাঁধবে। ওমন রাগী শ্বশুরের মাথা ঠান্ডা করতে মাছের মাথা রেঁধে খাওয়াবে সে। সাম্প্রতিক প্রোমোতে দেখা যায়, ‘আমি শ্রী শ্রী ভজহরি মান্না’ গাইতে গাইতে শ্বশুরবাড়ির রান্নাঘরে হাত পুড়িয়ে রান্না করছে শান্টু, আর তাকে জোগাড় করে দিচ্ছে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা।