‘সঞ্জু’র পর ফের বড় পর্দায় ফিরলেন রণবীর কাপুর(Ranbir Kapoor)। অবশেষে শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বিগ বাজেট ছবি ‘শামশেরা’। প্রিয় অভিনেতাকে পর্দায় দেখার জন্য অনুরাগীরা যেমন মুখিয়ে ছিলেন, তেমনই আবার দক্ষিণ ভারতীয় ছবির (South Indian films) রমরমা বাজারে ছবিটি কেমন ব্যবসা করবে তাও তাঁদের দেখার ছিল। ‘শামশেরা’ (Shamshera) কেমন ব্যবসা করল, তা জানতে এখনও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে ছবিটি কিন্তু দর্শকদের সম্পূর্ণভাবে মুগ্ধ করেছে।
‘শামশেরা’র ‘মাসল’ এবং ‘হৃদয়’ দুইই আছে। আর বলিউডের ইতিহাসে এমন সিনেমা যে সফল হয়েছে তা তো বারবার দেখাই গিয়েছে। একজন আন্ডারডগ হিরো ভিলেনের বিরুদ্ধে লড়ছেন, নিজের সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছেন- এমন কাহিনী বলিপ্রেমী মানুষরা বরাবর দেখতে ভালোবাসেন। রণবীরের ছবিতেও তাই দেখানো হয়েছে। সেই কারণে ২ ঘণ্টা ৩৯ মিনিটের সম্পূর্ণ ছবি মনোযোগ সহকারে দেখেছেন দর্শকরা।
করণ মলহোত্রা পরিচালিত এই ছবি দেখতে বসলে অবশ্য বলতি বছর মুক্তি পাওয়া ‘আরআরআর’এর কথা মনে পড়তেই পারে। দুই ছবিতেই ব্রিটিশ শাসনের সময়কাল দেখানো হয়েছিল। পাশাপাশি ছবির কিছু কিছু দৃশ্যেও মিল পেতে পারেন। তবে দুই ছবির মধ্যে অবশ্যই এগিয়ে থাকবে ‘শামশেরা’। কারণটা হল, ‘আরআরআর’ অনেক বেশি নির্ভরশীল ছিল ভিএফএক্সের ওপর। অপরদিকে রণবীরের ছবির কাহিনী দর্শকদেড় হৃদয়কে স্পর্শ করবে।
অভিনয়ের দিক থেকে বলা হলে, রণবীর যথারীতি প্রমাণ করেছেন, তিনি কত বড় মাপের অভিনেতা। শামশেরা এবং তাঁর ছেলে বল্লি- দুই চরিত্রেই দারুণ অভিনয় করেছেন তিনি। তিনি এমন একজন ডাকাতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে সোনা চুরি করে। আবার তাঁর হৃদয়টাও সোনার।
তবে শুধু রণবীর নন, দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্তও। হিরোর সঙ্গে একেবারে টক্কর দিয়ে লড়াই করেছেন তিনি। ভুলে গেলে চলবে না, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে লড়তে এই ছবির শ্যুটিং করেছিলেন সঞ্জয়। তা সত্ত্বেও, তাঁর অভিনয় এককথায় দুর্দান্ত।
রণবীর-সঞ্জয় ছাড়াও নজর কেড়েছেন বানী কাপুরও। ‘শামশেরা’র সঙ্গে কিছু কিছু স্থানে ‘থাগস অফ হিন্দোস্তান’এর মিল পেতে পারেন। সোনার সঙ্গে সুরাইয়ার সাদৃশ্য পেতে পারেন। কিন্তু একটি জায়গায়, বানীর সোনা চরিত্রটি ক্যাটরিনার সুরাইয়ার থেকে আলাদা। ক্যাটের ‘থাগস অফ হিন্দোস্তান’এ অভিনয় দেখানোর স্থান বিশেষ ছিল। তবে বানী সেই সুযোগ পেয়েছেন।
ছবির মুখ্য চরিত্রের মতোই নজর কেড়েছেন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীরাও। সতীশ কৌশিক, রনিত রায়, ইরাবতী হর্ষের অভিনয় নজর কেড়েছে। তবে সব ভালো হলেও, ছবির গান দর্শক মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ। তবে সেই দিকটা বাদ দিলে, ‘শামশেরা’র মধ্যে সাউথের ছবিকে টেক্কা দেওয়ার সমস্ত রকমের মশলা রয়েছে। এই ছবিই যেন প্রমাণ করল, বলিউড শেষ হয়ে যায়নি।