বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। গত কয়েক দশক ধরেই তাঁর ইন্ডাস্ট্রিতে ওঠা বসা। সিনিয়র অভিনেত্রীদের তালিকায় এক্কেবারে প্রথমেই নাম আসে অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার (Sakuntala Barua)। চিরন্তন সাবেকি সাজে অভ্যস্ত শকুন্তলা মানেই কপালে একটা বড় টিপ, খোঁপায় ফুল, ঠোঁটে লিপস্টিক। আধুনিক সাজ এক্কেবারে না পসন্দ অভিনেত্রীর।
এই আধুনিকতার সাথে তাল মেলাতে পারেননি বলেই কি তবে ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্রাত্য হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী? সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, একালের প্রযোজক পরিচালকদের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে শকুন্তলা জানিয়েছেন, “আজকাল আর কাজ পাইনা, তাই বসেই আছি”।
শেষ ধারাবাহিক করেছেন ক্ষীরের পুতুল, তারপর নাকি আর সেভাবে প্রস্তাবই পাননি টলিপাড়ার এই দাপুটে অভিনেত্রী। এমনকি কাজ না পেয়ে এমন অবস্থা হয়েছিল যে লজ্জার মাথা খেয়ে শেষমেশ নিজেই এক প্রযোজককে ফোন করে অভিনেত্রী অনুরোধ করেছিলেন, ‘আমার জন্য কোনও চরিত্র থাকলে জানিয়ো।’ অভিনেত্রীর কথায়, এর আগে এমন অবস্থা হয়নি। কিন্তু সুস্থ অবস্থায় কাজ না করে বসে থাকার চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক তার কাছে আর কিচ্ছু নেই।
আদ্যপ্রান্ত প্রাচীনপন্থী শকুন্তলা আজ অবধি কখনো স্লিভলেস ব্লাউজ পরেননি। এখন তার সময় কাটে ছবি এঁকে, কবিতা লিখে, অথবা নিত্যনতুন রান্না করে। গান ও গাইতেন তিনি। গানের শিক্ষা তার মায়ের থেকেই পাওয়া। অভিনেত্রীর মেয়েও গানের জগতের মানুষ। এখন মুম্বইয়ে থেকে দাপিয়ে কাজ করছেন শকুন্তলা কন্যা রাজসী বিদ্যার্থী।
তবে এবার যেন ভাগ্য ফিরছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর। আগামী ২৪ শে ডিসেম্বর বড়দিনেই মুক্তি পেতে চলেছে দেব এবং বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ বন্দোপাধ্যায়ের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘টনিক’। আর এই ছবিতে পরাণের স্ত্রীয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন শকুন্তলা। নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে শকুন্তলা জানান, “আমার চরিত্রের নাম উমা সেন। এই ছবিতে আলাদা করে অভিনয় করতে হয়নি। আমি যেমন, ঠিক তেমনই আমার চরিত্র।”