‘নেপোটিজম’ বা স্বজনপোষণের অভিযোগ বলিউডে নতুন কিছু নয়। আর তাই শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খানকে নিয়েও চলে বিস্তর জল্পনা। যদিও ইনস্টাগ্রামের সাম্প্রতিক ছবিতে নেট-দুনিয়ার চর্চার আলোয় এসে পড়েছেন সুহানা। মেকআপ ছাড়াই সুঠাম শরীর ও আত্মবিশ্বাসী চাহনির দৌলতে ভাইরাল হয়েছে সুহানা খানের ছবি।
ইতিমধ্যেই প্রায় ২.৮৮ লক্ষ লাইক পড়েছে সুহানার ছবিতে। গলায় ছোট্ট একটি নেকলেস, হাইওয়েস্ট নীল ডেনিম শর্টের সাথে টিমআপ করে একটি কালো টপ – ব্যাস এতেই ঘায়েল হয়েছে সুহানার ফলোয়াররা। কোঁকড়ানো চুলগুলিকে মাথার উপর তুলে ধরে চোরা চাহনিতে সুহানা আহত করেছেন নেটিজেনদের।
https://www.instagram.com/p/CGAaVb0nXXw/?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading
সম্প্রতি সুহানার একটি ইন্সটা-পোস্টে একজন কমেন্টবক্সে তাঁকে ‘কালি’ বা ‘কুৎসিত’ নামে অভিহিত করেন। আত্মবিশ্বাসী সুহানা যথাযোগ্য ভঙ্গিতে তার উত্তর দেন। পশ্চিমী হোক বা নিখাদ ভারতীয়, প্রত্যেক ধরনের পোশাকই নিজস্ব ভঙ্গিমায় ‘ক্যারি’ করতে পারেন সুহানা। ফলে এমনতর কটু সমালোচনার জবাব দিতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি সুহানাকে।
ইন্সটা-পোস্টে সুহানা লেখেন : “আমার যখন ১২ বছর বয়স, তখন থেকেই চাপা গায়ের রংয়ের কারণে নানারকমের কটু সমালোচনা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। সবচেয়ে দুঃখের কথা এই যে, পূর্ণবয়স্ক তথাকথিত শিক্ষিতরা এটা বুঝতে পারেন না যে, ভারতীয় হওয়ার দরুণ এই বাদামি-ই আমাদের প্রকৃত গায়ের রঙের রঙ। আমরা যত চেষ্টাই করি না কেন, মেলানিনের থেকে পালানো অসম্ভব। আর তাছাড়া যাঁরা নিজের দেশের মানুষকে হেয় করেন, তাঁরা করুণারও অযোগ্য।”
ভারতের চলমান সামাজিক ভাবধারাকে দৃপ্তভাবে ভেঙে দেন সুহানা। নিজস্ব পোস্টে লেখেন, “আমি দুঃখিত যে কিভাবে মানুষ সমাজের থেকে এইসব রুচিহীন শিক্ষা পায়। সমাজ শিখিয়ে দেয় যে তোমার উচ্চতা ৫’৭”-এর কম হওয়া যাবে না। আমি গর্ব করে বলি যে আমার উচ্চতা ৫’৩” এবং আমি সুন্দর।” ‘এন্ডকালারিজম’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নিজস্ব পোস্টকে সকলের কাছে পৌঁছে দেন সুহানা।