স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও মহিলা ভোগ করতে চলেছেন ফাঁসির সাজা। সূত্রের খবর মাফিক, উত্তরপ্রদেশের (UP) মথুরায় (Mathura) অবস্থিত একমাত্র মহিলা ফাঁসিঘরে সাজা পেতে চলেছেন অমরোহার বাসিন্দা শবনম (Sabnam)। জানা গেছে, দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের ফাঁসির পর কমপক্ষে দুইবার এই ফাঁসিঘরকে পরীক্ষা করে গেছেন পবন জল্লাদ (Pawan Executioner)। এখনও পর্যন্ত ফাঁসির তারিখ নির্ধারণ না হলেও এহেন ঘটনা ঘিরে যে যথেষ্ট উত্তেজিত জনগণ, তার আভাস মিলেছে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) নানান পোস্টেই।
পুলিশ রেকর্ড অনুসারে, ২০০৮ সালের এপ্রিলে নিজ প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নিজের পরিবারেরই সাতজনকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন শবনম। এই মামলায় শবনমকে ফাঁসির সাজা দেন মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শবনমের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন খারিজ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি। সূত্রের খবর, আজ থেকে ১৫০ বছর আগে উত্তরপ্রদেশের মথুরাতে প্রথম স্থাপিত হয় মহিলা ফাঁসিঘর। যদিও দেশ স্বাধীনের পর থেকে কোনও মহিলাকে ফাঁসি দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ফাঁসির তারিখ নির্ধারণ না হলেও প্রস্তুতি যে শুরু হয়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে জানান অভিজ্ঞ জেল আধিকারিক শৈলেন্দ্র কুমার। এক প্রশাসনিক অধিকারিক জানান, “ডেথ ওয়ারেন্ট জারি হলেই ফাঁসিকাঠে ঝুলবেন শবনম!”
উত্তরপ্রদেশ সরকারের আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, “পবন জল্লাদ দু’বার ফাঁসিঘর নিরীক্ষণ করেছে। প্রস্তুতির ক্ষেত্রে যা খামতি দেখা গেছে, সেগুলির দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে।” সূত্রের খবর, বিহারের বক্সর থেকে আনানো হচ্ছে ফাঁসির দড়ি। পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে যাতে কোনও বাধা না আসে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে স্বাধীন ভারতের প্রথম ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মহিলা আসামি শবনমকে ঘিরে যে উত্তেজনা তুঙ্গে, তা বলাই বাহুল্য।